ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের সঙ্গে সব ব্যবসায়িক চুক্তি বাতিল

যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট বলে পরিচিত ক্যাপিটল হিলে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের উস্কানিতে ভয়াবহ দাঙ্গার কারণে ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের সঙ্গে সব ব্যবসায়িক চুক্তি বাতিল করছে নিউ ইয়র্ক সিটি। এ কথা বলেছেন সেখানকার মেয়র বিল ডি ব্লাসিও। তিনি এমএসএনবিসি’কে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে উস্কানি দেয়া স্পষ্টতই ফৌজদারি অপরাধ। তাই ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের সঙ্গে আর কোনো সম্পর্ক নেই নিউ ইয়র্ক সিটির। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়, নিউ ইয়র্কের সেন্ট্রাল পার্ক ক্যারোসেল পরিচালনার চুক্তি পেয়েছিল ট্রাম্প অর্গানাইজেশন। সেন্ট্রাল পার্কে দুটি আইস-স্কেটিং রিঙ্কস এবং ব্রোঙ্কসে ফেরি পয়েন্ট গলফ কোর্সের চুক্তি পেয়েছিল তারা। এসব চুক্তির বার্ষিক অর্থমূল্য এক কোটি ৭০ লাখ ডলার।
কিন্তু এসব সম্পর্ক এখন ছিন্ন করেছেন সিটি মেয়র। তার প্রধান আইনজীবী জেমস ই জনসন বলেছেন, প্রেসিডেন্ট সহিংসতায় উস্কানি দিয়েছেন। এটা পরিষ্কার ঘৃণ্য একটি অপরাধ। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, নিউ ইয়র্কারদের জন্য এসব চুক্তি বাতিল করা হবে তাদের উত্তম স্বার্থ রক্ষার জন্য। একই সঙ্গে ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের সঙ্গে সব রকম ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করছে সিটি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিউ ইয়র্কের। গত ৬ই জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে যখন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত জো বাইডেনকে আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্ত অনুমোদন নিয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের সভাপতিত্বে অধিবেশন চলছিল, তখন সেখানে ট্রাম্পের উস্কানিতে ভয়াবহ দাঙ্গা শুরু করে তার সমর্থকরা। এরপর থেকে ভীষণ চাপে রয়েছেন ট্রাম্প। তার বিরুদ্ধে প্রতিনিধি পরিষদে অভিশংসন প্রস্তাবের ওপর ভোট হচ্ছে আজ। এরই মধ্যে প্রাথমিক আনুষ্ঠানিকতা হিসেবে একটি ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এরপর আরো একবার ভোট হবে। তবে ট্রাম্প উস্কানি দেয়ার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। বলেছেন, তিনি ‘উইচ-হান্টের’ শিকার।
উল্লেখ্য, ভাইকে সঙ্গে নিয়ে পারিবারিক ব্যবসা এখন পরিচালনা করছেন ট্রাম্পের ছেলে এরিক। তাদের সংগঠনের সঙ্গে সিটি কর্তৃপক্ষের চুক্তি বাতিল প্রসঙ্গে এবিসিতে প্রচারিত একটি বিবৃতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এরিক। বলেছেন, এটা হলো মেয়র ডি ব্লাসিওর আরেকটি অযোগ্যতার উদাহরণ। তিনি প্রকৃত সত্যকে অবজ্ঞা করছেন। তার ভাষায়, নিউ ইয়র্ক সিটির কোনো আইনগত অধিকার নেই আমাদের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করার। যদি তারা এটা করতে চায় তাহলে ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের কাছে তারা তিন কোটি ডলারের বেশি ঋণী হবে। তারা যা করছে তা রাজনৈতিক বৈষম্য ছাড়া কিছু নয়। আমরাও জোরালো লড়াই করবো।