চসিক এলাকায় সাড়ে ৪ লাখ, ১৪ উপজেলায় ১২ লাখ শিশুকে হাম-রুবেলা টিকা দেওয়া হবে

চট্টগ্রামে ১৪ উপজেলায় ১২ লাখ ৭ হাজার ১৪৮ জন শিশুকে হাম-রুবেলা টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি।

বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর ) বিকেল চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য জানানো হয়।

সিভিল সার্জন বলেন, স্বাস্থ্য সহকারীরা আন্দোলন করলেও বিকল্প ব্যবস্থায় আমাদের টিকা দান কার্যক্রম চলবে। তাদের সঙ্গে ঢাকায় মিটিংয়ে খবর শুনেছি। এবারের ক্যাস্পেইনে স্থায়ী ও অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্র মিলে মোট ৪ হাজার ৮৪৩ টি কেন্দ্রে এ কর্মসূচি পালন করা হবে। এবারের টিকাদান ৬ সপ্তাহ ব্যাপি হবে চলবে। যা শুরু হবে আগামী ১২ ডিসেম্বর।

তিনি বলেন, গত ১৮ মার্চ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত এই টিকাদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে পিছিয়ে যায়।

সংবাদ সম্মেলন সহকারী সিভিল সার্জন ডা. আসিফ খান, মেডিক্যাল অফিসার ডা. নুরুল হায়দার উপস্থিত ছিলেন। ভাইরাসজনিত মারাত্মক সংক্রমণ রোগ হাম-রুবেলা প্রতিরোধে ৭ লাখ ৫২ হাজার ৫৬৪ জন শিশুকে টিকা দেওয়া হবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ব্যবস্থাপনায়।

১২ ডিসেম্বর থেকে ২৪ জানুয়ারির মধ্যে নগরের ৪১ ওয়ার্ডের ৯ মাস থেকে ৫ বছরের কম বয়সী ৩ লাখ ১ হাজার ২৬ জন এবং ৫ বছর থেকে ১০ বছরের ৪ লাখ ৫১ হাজার ৫৩৮ শিশুকে ১ ডোজ করে টিকা দেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) সকালে চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, নির্দিষ্ট বয়সের কোনো শিশু আগে হাম-রুবেলা টিকা পেলেও ক্যাম্পেইন চলাকালে ১ ডোজ টিকা অতিরিক্ত হিসেবে নিতে হবে। টিকাদান কেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে, কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখা ও মুখে মাস্ক রাখতে হবে।

হাম সাধারণত আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসা অন্যদের মধ্যে হাঁচি কাশির মাধ্যমে ছড়ায়। শিশু ছাড়াও যেকোনো বয়সে হাম হতে পারে। রুবেলা রোগের জীবাণু প্রধানত বাতাসের সাহায্যে শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমে সুস্থ শরীরে প্রবেশ করে এবং লক্ষণ দেখা দেয়।

গর্ভবতী মায়েরা গর্ভের ৩ মাসের সময় রুবেলা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ৯০ ভাগ ক্ষেত্রে মা থেকে গর্ভের শিশু আক্রান্ত হতে পারে। সেক্ষেত্রে গর্ভপাত এমনকি গর্ভের শিশুর মৃত্যুও হতে পারে অথবা শিশু জন্মগত বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে যা কনজেনিটাল রুবেলা সিনড্রোম (সিআরএস) নামে পরিচিত। কোনো শিশু এমআর টিকা না পেলে অন্যরাও তার মতো হাম রুবেলা রোগের ঝুঁকিতে থাকে।

ক্যাম্পেইন চলাকালে চসিক জেনারেল হাসপাতালে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ (নম্বর ০৩১-৬৩৪৫৮৪, ০৩১-৬১৬৫৫৫) খোলা থাকবে।

সংবাদ সম্মেলনে চসিকের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী, ডা. সানোয়ার আলম, ডা. আশরাফ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিভাগীয় কো অর্ডিনেটর ডা. ইমং প্রু চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।