ভিনদেশীরে জন্য নির্মিত কাটা তারের ঘেরায় আবদ্ধ তারা

কায়সার হামিদ মানিক,উখিয়া।
বাংলাদেশে আশ্রিত বিদেশি কোন নাগরিক বা শরণার্থী নয়। প্রতিবেশী মিয়ানমারের কোন রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীও নয়। সবাই বাংলাদেশী নাগরিক। বরং লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গাদের চরম দূর্দিনে নিজেদের সবকিছু উজাড় করে দিয়ে অনন্য মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন কারী এরা।এদের কারণে বর্হিবিশ্বে আজ সম্মানিত হয়েছে মাতৃভূমি বাংলাদেশ।
কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত আজ সেইসব মানবতাবাদী উখিয়ার কয়েকশত মানুষকে কাটা তারের ঘোরায় বন্দী জীবন কাটাতে হচ্ছে।
ছবিতে যেটি দেখছেন সেটি বালুখালী কাশেমিয়া উচ্চ বিদ‍্যালয়ের খেলার মাঠের জায়গা। যেটির অবস্থান কথিত মানবতার শহর খ্যাত কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালীতে।
এই খেলার মাঠটি রোহিঙ্গা আসার পরে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা জরুরী প্রয়োজনে দখল করে অফিস করে। কাটা তার দিয়ে ব্লক করে দেয়া যে রাস্তাটি দেখছেন সেটি বিগত ৫০-৬০ বছরের পুরোনো একটি রাস্তা। যেটি এলাকার প্রায় ১২০ টি বাংলাদেশী স্থানীয় পরিবারের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম। যেখানে কমপক্ষে ৮০০ স্থানীয় মানুষের বসবাস। ইউনিয়নবাসী স্কুলের খেলার মাঠটি ফিরিয়ে পেতে চাইলেও কোন এক অজানা কারণে প্রশাসন যাতায়াতের রাস্তাটিও ব্লক করে দেয়।
ইউনিয়নবাসীর পক্ষে স্থানীয় অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি, ৫নং পালংখালী, উখিয়া সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট খেলার মাঠটি অবিলম্বে ফিরিয়ে দিয়ে খেলা ধূলোর পরিবেশ ফিরিয়ে দিতে আবেদন করেছেন। একই সাথে পুরোনো রাস্তাটি খুলে দিয়ে স্থানীয় জনসাধারণের চলাচলের জন্য উমুক্ত করে দিয়ে এলাকাবাসির ন‍্যায‍্য অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার দাবী জানিয়েছে।
পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী মানুষের দূর্ভোগের কথা স্বীকার করে বলেন,অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে উখিয়া-টেকনাফ রোহিঙ্গাদের সেবায় নিয়োজিত দেশী-বিদেশী এনজিও গুলোকে লিজ দেয়া হয়েছে। না হলে তারা স্থানীয় লোকজনদের নিয়ে যাচ্ছেতাই করত না। স্থানীয় মানুষের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবী করেন তিনি।