শ্রমিক কল্যাণ ফান্ড থেকে সংকটকালে ঋণ চায় পোশাক মালিকরা

পোশাক শিল্পের প্রতিটি রফতানি চালানের বিপরীতে শ্রমিক কল্যাণে ফান্ডে শূন্য দশমিক ০৩ শতাংশ হারে জমা হচ্ছে। ওই ফান্ড থেকে সংকটময় পরিস্থিতিতে চট্টগ্রামের পোশাক শিল্প মালিকদের অস্তিত্ব রক্ষার্থে যাতে ঋণ হিসেবে নেওয়া যায় সে বিষয়ে ভূমিকা রাখতে হবে।

রোববার (২২ নভেম্বর) বিজিএমইএর আঞ্চলিক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর চট্টগ্রামের নতুন উপ-মহাপরিদর্শক আবদুল্লাহ আল সাকিব মুবাররাতের সঙ্গে বিজিএমইএ নেতাদের মতবিনিময় সভায় এ সহযোগিতা চাইলেন বিজিএমইএর প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালাম।

আবদুস সালাম বলেন, করোনাকালীন পরিস্থিতিতে যে সব শ্রমিক চাকরিচ্যুত হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কর্তৃক তাদের কল-কারখানা অধিদফতরের মাধ্যমে ৩ মাসের বেতন-ভাতা দেওয়ার জন্য শ্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

বিজিএমইএর প্রথম সহ-সভাপতি বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণের প্রেক্ষিতে পোশাক শিল্প বর্তমানে অত্যন্ত সংকটময় পরিস্থিতি অতিক্রম করছে উল্লেখ করে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক এ দুর্যোগকালে স্বল্প সুদে ঋণ প্রনোদণাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে রফতানি মুখী শিল্প খাত ঘুরে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এর জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিজিএমইএর পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।

তিনি বলেন, শ্রম অসন্তোষ নিরসনে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত সূরাহার লক্ষ্যে বিজিএমইএ ও ডাইফ যৌথভাবে কাজ করবে। চট্টগ্রাম কেন্দ্রিক চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম বিশেষ করে কর্ণফুলী টানেল, মিরসরাইতে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর, আনোয়ারা অর্থনৈতিক অঞ্চল ইত্যাদি শেষে প্রচুর বিদেশি বিনিয়োগসহ বিপুলসংখ্যক পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানসহ কল-কারখানা স্থাপিত হবে। চট্টগ্রামে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়বে। ফলে কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের (ডাইফ) কার্যক্রমও দিন দিন বাড়বে।

উপ-মহাপরিদর্শক আবদুল্লাহ আল সাকিব মুবাররাত বলেন, মালিকদের চাহিদা কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম সচল থাকুক। শ্রমিকদের চাহিদা সময়মতো বেতন। মালিক-শ্রমিক কোনো ধরনের সমস্যা হলে তা আলোচনা-সমঝোতার মাধ্যমে দ্রুত সমাধান করে কারখানার সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ বজায় থাক এটাই সরকারের প্রত্যাশা। কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষসহ কোনো ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হলে তা যাচাই-বাছাই করে বিজিএমইর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
তিনি পোশাক শিল্প কারখানার লাইসেন্স নবায়নের ক্ষেত্রে কার্যক্রম সহজীকরণ করে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন।

বিজিএমইএর সহ-সভাপতি এএম চৌধুরী সেলিমের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন বিজিএমইএর পরিচালক মোহাম্মদ মুসা, মোহাম্মদ আতিক, খন্দকার বেলায়েত হোসেন, এনামুল আজিজ চৌধুরী, লেবার ও ফায়ার বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফ উল্লাহ্ মনসুর ও কমিটির সদস্য মীর ফজলে করিম, মো. আবদুর রহিম প্রমুখ। ডাইফ’র পক্ষে মতামত তুলে ধরেন এআইজি শিপন চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার শরীফ আহমেদ আজাদ ও ডা. বিশ্বজিৎ রায়।