গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করন অভিযান অব্যাহত

মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় অবৈধ গ্যাস সংযোগের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল)। আড়াই মাসে অবৈধ প্রায় ২ হাজার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে জরিমানা ও বকেয়াসহ প্রায় ২৬ কোটি টাকা আদায় করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

কোম্পানির আওতাধীন ১২টি জোনে ১৬টি টিম গ্যাস লাইন ও রাইজারের ত্রুটি সরেজমিন পরীক্ষা করছে। কেজিডিসিএলের মহাব্যবস্থাপক (ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস) প্রকৌশলী মো. সারওয়ার হোসেনের তত্ত্বাবধানে ও ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আবুল কালামের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

গত ৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় অভিযান অব্যাহত রাখতে নির্দেশনা দেয়।

তাই ৬ নভেম্বর থেকে একদিন পর পর ১৬টি টিম নগরের বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ গ্যাস লাইনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

কেজিডিসিএল সূত্র জানায়, ৬ সেপ্টেম্বর থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত আড়াই মাসে কেজিডিসিএলের বিশেষ টিম আবাসিক, বাণিজ্যিক, শিল্প/ক্যাপটিভ, সিএনজি/ক্যাপটিভে ১০ হাজার ১০০টি সংযোগ পরিদর্শন করে অবৈধ ২ হাজার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে।

এরমধ্যে আবাসিকে ৯ হাজার ৪০০টি, বাণিজ্যিকে ৫০০টি, শিল্প এলাকায় ১১০টি ও সিএনজি স্টেশনে ১৯টি সংযোগ পরিদর্শন করা হয়।

বকেয়া, অবৈধ সংযোগ নেওয়া, গ্যাস লাইনে লিকেজ ও আবদ্ধ/ঝুঁকিপূর্ণ থাকার কারণে এসব সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে জরিমানা ও বকেয়াসহ প্রায় ২৬ কোটি টাকা আদায় করা হয়।

কেজিডিসিএলের মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. সারওয়ার হোসেন জানান, ত্রুটিপূর্ণ রাইজার শনাক্ত করার পর প্রায় ৪০০ রাইজার মেরামত ও আবদ্ধ রাইজার খোলা জায়গায় স্থানান্তর করা হয়।

রাইজার লিকেজ মেরামত ও আবদ্ধ রাইজার উন্মুক্ত স্থানে স্থানান্তরের মধ্যে জিআই রাইজার ৪৮টি, এমএস রাইজার ১২৫টি, এমএস লাইনের লিকেজ রাইজার মেরামতের সংখ্যা ১৭৮টি, আবদ্ধ রাইজার উন্মুক্ত স্থানে সরানোর সংখ্যা ৪৩টি এবং ঝুঁকিপূর্ণ রাইজার নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করা হয় ৫৪টি।

মো. সারওয়ার হোসেন বলেন, প্রথমে ৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু মন্ত্রণালয় থেকে অভিযান অব্যাহত রাখার নির্দেশনা দেওয়ার পর, একদিন পরপর ১৬টি টিম অভিযান পরিচালনা করছে।