ইসলামের শত্রু, রাসুলের দুশমনদের কবর রচনার জন্য হেফাজতের অভ্যুদয়

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নব নির্বাচিত আমীর, শায়খুল হাদীস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন, হেফাজত বাংলাদেশে নামাজ কায়েম করতে চায়। যারা ইসলামের শত্রু, রাসুলের দুশমন, নাস্তিক-মুর্তাদদের কবর রচনার জন্য হেফাজতে ইসলামের অভ্যুদয়।

শনিবার (২১ নভেম্বর) বিকেল ৪টা ৩৯ মিনিটে সিলেট নগরের রেজিস্ট্রারি মাঠে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, হেফাজত সরকার বিরোধী সংগঠন নয়, আবার সরকার দলীয় সংগঠনও নয়। বিশ্বের দুই শত কোটি মুসলমানের ভালোবাসার প্রতীক রাসুল (সা.)-এর বিরুদ্ধে ফ্রান্স সরকার ব্যঙ্গ ও কটাক্ষ করে মুসলমানদের কলিজায় আগুন লাগিয়েছে। রাসুলের অপমানের মোকাবিলায় রক্তের বন্যা বইয়ে দেবো।

এর আগে দুপুর ২টায় ঐতিহাসিক রিজেস্ট্রারি মাঠে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা শায়খুল হাদীস আল্লামা জিয়া উদ্দীন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাবুনগরী আরও বলেন, সমস্ত মসজিদের মুসল্লিরা হেফাজতের সদস্য, সব মসজিদের ইমাম, মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষক হেফাজতের সদস্য। সব স্কুল-কলেজের ধর্মপ্রাণ মানুষ হেফাজতের সদস্য। নামাজ, রোজা, হজ্জ-জাকাত হলো হেফাজতের কর্মসূচি।

সমাবেশে কাদিয়ানীদের কাফের ঘোষণা করেন জুনায়েদ বাবুনগরী।

তিনি বলেন, আমি মনে করি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও কাদিয়ানীদের মুসলিম বলে মনে করেন না। কাদিয়ানীরা অন্য সংখ্যালঘুদের ন্যায় নিজেদের ধর্ম পরিচয়ে এ দেশে বাস করুক, আমাদের কোনো আপত্তি নেই। এই কাদিয়ানীরাই বিশ্ব নবীর বড় শত্রু।

শায়খুল হাদীস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী এদেশ মদিনা সনদে চলবে। অন্য কোনো সনদে চলবে না। তাই মদিনা সনদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কাজ শক্তভাবে দমন করতে হবে।

ফ্রান্সে রাষ্ট্রীয় মদদে মহানবী (সা.)-এর ব্যঙ্গ চিত্র প্রদর্শনের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলাম সিলেটের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- হেফাজতের মহাসচিব আল্লামা নূর হুসাইন কাসিমী, নায়েবে আমীর প্রফেসর ড. আহমদ আবদুল কাদের, উপদেষ্টা শায়খুল হাদীস আল্লামা মুফতী রশিদুর রহমান ফারুক বর্ণভী, শায়খুল হাদীস আল্লামা উবায়দুল্লাহ ফারুক আকুনী, নায়েবে আমীর শায়খুল হাদীস আল্লামা নূরুল ইসলাম খান সুনামগঞ্জী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, কেন্দ্রীয় নেতা এডভোকেট মাওলানা আবদুর রকীব, সমাবেশের অন্যতম আহ্বায়ক মাওলানা মুহিউল ইসলাম বুরহান ও সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন।

সমাবেশের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- সমাবেশের অন্যতম আহ্বায়ক প্রিন্সিপাল হাফিজ মাওলানা মজদুদ্দিন আহমদ।

সমাবেশে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে সংসদে নিন্দা প্রস্তাব পাস, সিলেটে হোটেলসমূহে মদের অনুমোদন বাতিল ও মাদকের অবাধ ছড়াছড়ি বন্ধ ও রায়হান হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি সংবলিত ৩ দফা দাবি পেশ করা হয়।