কুতুবদিয়ায় গৃহহীন পরিবারের জন্য গৃহনির্মাণ

লিটন কুতুবী
প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে কুতুবদিয়ায় প্রথম পর্যায়ে ২০টি পরিবারের মাঝে ভূমি বন্দোবস্তি ও গৃহনির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ বার্ষিকী উৎযাপন উপলক্ষে গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে পূর্ণবাসন প্রকল্প বাস্তবায়নে কুতুবদিয়া দ্বীপে ২০টি পরিবারে বন্দোবস্তিসহ গৃহনির্মাণ প্রকল্পের ভূমি নির্ধারণসহ ৫ পরিবারের গৃহনির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। বড়ঘোপ ইউনিয়নের উত্তর মগডেইল তিনটি গৃহ, আজম কলোনীতে একটি গৃহ, উত্তর ধুরুং একটি গৃহনির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। এসব গৃহের ৩০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে।
সূত্রে আরো জানা গেছে, প্রতিটি গৃহে দুইটি কক্ষ ও রান্নাঘর, পায়খানা থাকবে। এ গৃহ নির্মাণের প্রাক্কলন বরাদ্দ ধরা হয়েছে এক লক্ষ ৭১ হাজার টাকা। এ ব্যাপারে কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধূরীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, প্রথম পর্যায়ে কুতুবদিয়া উপজেলায় ভূমি ও গৃহহীন পরিবার তদন্তপূর্বক ভূমি বন্দোবন্তিসহ গৃহনির্মাণ করার জন্য ২০ পরিবারের গৃহ নির্মাণের অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেছে। তন্মধ্যে ১৫ পরিবারের জন্য খাস জমি খোঁজে তাদেরকেও ভূমি বন্দোবস্তি ও গৃহনির্মাণ করে দেয়া হবে।
কক্সবাজার জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গির আলমের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ভূমিহীন,গৃহহীন পরিবার বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবর্ষ বার্ষিকী উপলক্ষে পূর্ণবাসন প্রকল্প জেলা প্রশাসক কর্তৃপক্ষ স্থানীয় উপজেলা পর্যায়ে ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস গৃহনির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে কুতুবদিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা খোকন চন্দ্র দাশের সাথে তথ্য জানার জন্য গেলে তিনি তথ্য দিতে অপারকতা প্রকাশ করেন। তবে নির্মাণকৃত কাজের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন উঠায় তিনি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতির কথা বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।
স্থানীয় কৈয়ারবিল ইউপির চেয়ারম্যান জালাল আহমদ জানান,খাস জায়গা না পাওয়ায় তার ইউনিয়নে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে এ প্রকল্পে গৃহ দেয়া যাচ্ছে না। বর্তমানে কিছু সংখ্যক সম্পদশালী ব্যাক্তি গৃহহীন ব্যাক্তিদের পূর্ণবাসনের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবরে ভূমিদান করে গৃহহীন পরিবারের মাঝে ভূমি বন্দোবস্তিসহ গৃহনির্মাণ করার জন্য প্রস্তাব দেন। বর্তমানে তাঁর ইউনিয়নে বেড়িবাঁেধর উপর ও বাইরে ৮শ পরিবার রয়েছে।