এক পাথরেই কোটিপতি

বাসায় বসে কাজ করছিলেন ৩৩ বছরের জোসুয়া হুটাগালাঙ্ক। এমন সময় আকাশ থেকে বাড়িতে পড়ল অদ্ভুত এক ‘পরশ পাথর’। এই ‘পরশ পাথরে’ বদলে গেল ভাগ্য। রাতারাতি জোসুয়া বনে গেলেন কোটিপতি। জোসুয়ার বাড়ি ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা প্রদেশের কোলাঙ্ক এলাকায়। গত আগস্টে এ ঘটনা ঘটে বলে গালফ নিউজ ও ইনডিপেনডেন্টের খবরে বলা হয়েছে।

৩৩ বছরের জোসুয়া কফিন তৈরি করে জীবন চালান। জোসুয়া একদিন নিজের বাড়িতে বসে কাজ করছিলেন। এমন সময় জোসুয়ার বাড়ির টিনে পড়ে একটি উল্কাপিণ্ড। উল্কাপিণ্ডটি তীব্রগতিতে টিন ফুটো হয়ে নিচে পড়ে। এতে ঘরের মেঝেতে প্রায় ১৫ সেন্টিমিটার ঢুকে যায় উল্কাপিণ্ডটি। এ ঘটনায় প্রথমে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন জোসুয়া। তখনই জোসুয়া জানতেন না যে রাতারাতি তাঁর ভাগ্য বদলে যাবে। কারণ আকাশ থেকে বাড়িতে পড়া বস্তুটি তাঁকে বড়লোক করে দিয়েছে। দরিদ্র থেকে সোজা কোটিপতি বনে গেছেন জোসুয়া হুটাগালাঙ্ক।ফেসবুকে এই ‘পরশ পাথরে’র ছবি পোস্ট করে জোসুয়া হুটাগালাঙ্ক লিখেছিলেন, ‘হঠাৎ আকাশ থেকে একটি কালো পাথরের মতো পড়েছিল। আমাকে অবাক করেছে। তবে তা যা–ই হোক না কেন, আশা করি আমাদের পরিবারের জন্য এটি একটি ভালো লক্ষণ।’

এই উল্কা টুকরাটি প্রায় ৪০০ বছরের পুরোনো। এটির বাজারে দাম ১৮ লাখ ডলার। টাকায় ১৫ কোটি টাকার বেশি। এটি বিক্রি করে জোসুয়া পেয়েছে ১৫ কোটি টাকা। বিরল প্রজাতির এই উল্কাটির প্রতি গ্রাম ৮৫৭ ডলারে বিক্রি হয়েছে। এক সংগ্রহকারী এটি কিনেছেন।

জোসুয়া জানিয়েছেন, প্রথম যখন এটি পড়ে তখন বাড়িটা যেন ঝাঁকি খেল। ছাদ ফেটে পড়ার পর এটি অনেক গরম ছিল। কিন্তু পরে এটি ঠান্ডা হয়ে যায়। উল্কা বেচে যে অর্থ পেয়েজেন, তা দিয়ে এলাকায় চার্চ করতে চান জোসুয়া।

জোসুয়া বলেন, ‘আমি সব সময় একটি কন্যাসন্তান চেয়েছিলাম। আমি আশা করি এটিই সেই চিহ্ন যে আমি এখন ভাগ্যবান হয়ে উঠতে পারব।’

বিক্রির আগে বিরল বস্তুটি দেখতে জোসুয়ার বাড়িতে রীতিমতো ভিড় লেগে গিয়েছিল। জোসুয়া হুটাগালাঙ্ক বলেন, ‘অনেকে কৌতূহল থেকে পাথরটি দেখতে আমাদের বাড়িতে এসেছিলেন।’

জোসুয়ার বাড়িতে উল্কা পড়ার দিন আশপাশের এলাকায় আরও তিনটি উল্কা পড়েছে।