স্থগিত সিরিজ আয়োজনে মনোযোগ বিসিবি’র

মার্চ থেকে একের পর এক আন্তর্জাতিক সিরিজ স্থগিত হতে শুরু করে বাংলাদেশ দলের। করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়ায় দেশের সব ধরনের খেলাধুলা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয় সরকার। ৮ মাস পর বিসিবি প্রেসিডেন্ট কাপ আয়োজনের মধ্য দিয়ে মাঠে ক্রিকেট ফেরায় বিসিবি। যদিও তার আগে বিসিবি উদ্যোগ নিয়েছিল স্থগিত হওয়া আন্তর্জাতিক সিরিজগুলো ফের আয়োজনের। তবে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়াতে দ্বিতীয়বারের মতো শ্রীলঙ্কা সফরে যাওয়া পিছিয়ে যায় টাইগারদের। তাই এ বছর আর কোনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার সুযোগ নেই। তবে আগামী বছর জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বাংলাদেশ সফরে আসার কথা। এরপর মার্চে টাইগাররা যাবে নিউজিল্যান্ড।
এরপর আইসিসি’র ফিউচার ট্যুর প্ল্যানের (এফটিপি) বাইরে বিসিবি মনোযোগ দিয়েছে স্থগিত হওয়া সিরিজগুলো ফের আয়োজনের। এ বিষয়ে বিসিবি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামুদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন, ‘কোনো এডিশনাল ম্যাচ আয়োজনের এখন পর্যন্ত পরিকল্পনা নেই আমাদের। আমাদের যেটা চেষ্টা রয়েছে- যে সিরিজগুলো স্থগিত হয়ে গেছে সেগুলো নিয়ে কাজ করা। এই ব্যাপারে ওই বোর্ডগুলোর সঙ্গে আমাদের ক্রিকেট অপরাশেন্স যোগাযোগ রাখছে। এর মধ্যে কোনগুলো আবার খেলা যায় সেটার ব্যাপারে কাজ করছি।’ তবে জুনে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা সফরে নিজেরাই যায়নি করোনা মহামারির কারণে। এরপর অক্টোবরে এই সিরিজ ফের আয়োজনের চেষ্টা করে বিসিবি। সবকিছু ঠিক হলো লঙ্কার কঠিন কোয়ারেন্টিন নীতির কারণে ফের লঙ্কা সফর স্থগিত হয়ে যায়। তবে বাংলাদেশের জন্য তারা যে কঠোর নিয়ম করেছিল, ইংল্যান্ডের বেলায় তা রাখেনি। যে কারণে জানুয়ারিতে ইংল্যান্ড দল আসছে শ্রীলঙ্কা সফরে। যদিও বিসিবির সিইও এই বিষয়টিকে ইতিবাক হিসেবে দেখতে চান। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি এভাবে দেখলে হবে না। আপনারা যদি খেয়াল করেন প্রত্যেকটা দেশে সব সময় একই রকম কোভিড সিচুয়েশন থাকছে না। আমরা যখন যেতে চেয়েছিলাম তখনকার চেয়ে হয়তো পরিস্থিতি ভালো ছিল না। এখন হয়তো কোভিড সিচুয়েশন ইম্প্রুভ করেছে। বা তাদের পরিকল্পনায় বদল এনেছে। তার প্রেক্ষতেই হয়তো ইংল্যান্ডকে হোস্ট করতে প্ল্যান করছে।’
অন্যদিকে বাংলাদেশ সফরে জানুয়ারিতেই আসছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল। জানা গেছে প্রথম সপ্তাহেই তারা এসে পৌঁছাবে। তবে তার আগে আলোচনায় আছে কতদিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে সফরকারী দলকে! বিসিবি জানিয়েছে, করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ হলেও ক্যারবীয়রা জৈব সুরক্ষা বলয়ে থেকে মাঠে নামতে পারবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের একটা স্ট্যান্ডার্ড প্র্যাক্টিস আছে বিদেশি খেলোয়াড় বা কোচ যারা তাদের অংশগ্রহণ করা নিয়ে। রিসেন্ট যে টুর্নামেন্টটা আমরা করেছি সেখানেও কিছু বিদেশি স্টাফ ছিলেন। তাদের ক্ষেত্রে যে প্র্যাক্টিসটা আমরা করেছি তাহলো আসার পর তারা কোয়ারেন্টিনে থাকবেন। এর মধ্যে তাদের কোভিড-১৯ টেস্ট করা হবে, ফল যদি নেগেটিভ হয় তাহলে তারা মাঠে কাজ করতে পারবেন। এভাবেই আমরা চেষ্টা করবো। এভাবেই সরকারের সঙ্গে কথা হচ্ছে।’
এছাড়াও জৈব সুরক্ষা বলয়ের জটিলতার কারণে ক্যারিবীয়রা সফর পরিধি কমাতে অনুরোধ করেছে। জানা গেছে তাই টেস্ট সিরিজের তিনটির পরিবর্তে দু’টি ম্যাচ হবে। তবে এখনো সূচি চূড়ান্ত হয়নি বলেই জানিয়েছেন সিইও। তিনি বলেন, ‘এখনো এই বিষয়টা চূড়ান্ত হয়নি। আমাদের কাছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড অনুরোধ করেছে যে বায়ো বাবলের মধ্যে থাকাটা যেহেতু একটু সমস্যা। সিরিজের সময়টা কমিয়ে আনা যায় কিনা। সে ক্ষেত্রে এটা একটা অপশন যে একটা টেস্ট কমিয়ে সময় কমানো যায় কিনা। এটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।’ ।