হামিদিয়া হোসাইনিয়া রাজ্জাকিয়া দাখিল মাদরাসার এমপিওভুক্তিতে চরম দুর্নীতি-অনিয়ম

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা

অনিয়ম, অসদাচরণ, স্বেচ্ছাচার, আর্থিক দুর্নীতি ও এমপিও জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে হাটহাজারীর ১নং দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডে অবস্থিত হামিদিয়া হোসাইনিয়া রাজ্জাকিয়া দাখিল মাদরাসার পরিচালনা কমিটির বিরুদ্ধে। ২০১৯ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় মাদরাসা এমপিওভুক্ত হয় এ জন্য আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মন থেকে দোয়া করছি । এমপিওভুক্ত হওয়ার পর হামিদিয়া হোসাইনিয়া রাজ্জাকিয়া দাখিল মাদরাসার পরিচালনা কমিটি মাদরাসায় বৈধভাবে নিয়োগ প্রাপ্ত দীর্ঘ দিন ধরে কর্মরত বেশ কয়েকজন শিক্ষককে বাদ দিয়ে জালিয়াতি ও চরম দুর্নীতির অশ্রয় নিয়ে মাদরাসায় কোন কার্যক্রমে যুক্ত নেই এমন ব্যাক্তিদের এমপিওভুক্ত করেছেন বলে দাবি করেছেন মাদাসায় কর্মরত সুপার,সহ সুপারসহ বেশ কজন শিক্ষক। শনিবার চট্টগ্রাম নগরীর একটি হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যাক্তিরা এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন। বক্তারা বলেন হামিদিয়া হোসাইনিয়া রাজ্জাকিয়া দাখিল মাদরাসায় ২০০০ সালে বৈধ ভাবে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে সুপার মো: ফরিদুল আলম,সহকারী সুপার মো: নুরুল হক, সহকারী মৌলভী মো: শফিউর রহমান, ইবি প্রধান মো: আব্দুস শুক্কুর স্ব স্ব পদে দায়িত্ব পালন করে আসলেও মাদরাসা এমপিওভুক্ত হলে জালিয়াতি ও চরম দুর্নীতির অশ্রয় নিয়ে তাদের নাম বাদ দিয়ে তদস্থলে বিজ্ঞপ্তি ও নিয়োগ পরিক্ষা না নিয়ে সম্পূর্ণ নতুন সৃজিত কাগজপত্র দাখিল করে এমপিওভূক্তির জন্য জমা দেয়। এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, আঞ্চলিক উপ-পরিচালক ও মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়ে এখনো সুরাহা না হওয়ায় মানবেতর জীবন যাপন করছি। লোকমুখে শুনছি বহু টাকার বিনিময়ে পরিচালনা কমিটি বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন। আমরা স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করছি ডিজির প্রতিনিধি, ইউএনও মহোদয় ও মাদরাসার সাবেক সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে নথি বদলের ধৃষ্টতা দেখিয়েছে সংশ্লিষ্ট চক্র, একই সাথে শিক্ষক হাজিরা খাতাও বদলে ফেলা হয়েছে যা হ্যান্ড রাইটিং এক্সপার্ট এর মাধ্যমে তদন্ত করলে জালিয়াতির প্রমান মিলবে।
বহু বছর ধরে সহ সুপার পদে চাকুরী করা মো: নুরুল হককে পদাবনতি করে সহকারী মৌলভী দেখানো হয় যা চরম নীতি নৈতিকতার বরখেলাপ অন্য দিকে সহকারী মৌলভী আবুল কাশেমকে রাতারাতি সহ সুপার দেখানো হয়। জালিয়াতির মাধ্যমে রাতারাতি সহ সুপার বনে যাওয়া মৌলভী আবুল কাশেমকে ভারপ্রাপ্ত সুপার সাজিয়ে তাঁর স্বাক্ষরে ৬ জন ভুয়া ব্যাক্তিকে শিক্ষক দেখিয়ে এমপিওভূক্ত করা হয়। বহু বছর আগে বৈধ ভাবে মু জসিমকে নিয়োগ দেযা হলেও তার স্থলে ভুয়া একজনকে এমপিও ভুক্ত করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে । আমরা যথাথ কর্তৃপক্ষের বরাবরে বলতে চাই মাদরাসার রেকর্ড ও ব্যানবেইসের নিয়মিত জরিপের তথ্য যাচাই করলে আমাদের বক্তব্যের সত্যতা পাবেন। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের বরাবরে সাংবাদিদের মাধমে আবেদন আমাদের ন্যয্য অধিকার ফিরিয়ে দিন।