অস্ট্রেলিয়ার তৈরি টিকা পরীক্ষায় নিরাপদ প্রমাণিত

অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও সিএসএল লিমিটেডের তৈরি একটি সম্ভাব্য কোভিড-১৯ টিকা প্রাথমিক পরীক্ষায় নিরাপদ বলে প্রমাণিত হয়েছে। এ টিকায় অ্যান্টিবডিও তৈরি হচ্ছে। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী গ্রেগ হান্ট গতকাল শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বিশ্বের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো কোভিড-১৯-এর টিকা তৈরির পেছনে ছুটছে। বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। ইতিমধ্যে করোনার সংক্রমণের শিকার হয়ে ১২ লাখের বেশি মানুষ মারা গেছেন। বিশ্ব অর্থনীতিও তছনছ করে দিয়েছে এ করোনা মহামারি।

যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার ইনকরপোরেশন ও যুক্তরাজ্যের অ্যাস্ট্রাজেনেকার মতো কয়েকটি টিকা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান দ্রুতই তাদের টিকার শেষ ধাপের ফলাফল জানাতে পারে।

গত সোমবার মার্কিন টিকা প্রস্তুতকারক ফাইজার ও তাদের জার্মান সহযোগী বায়োএনটেক দাবি করেছে, তাদের তৈরি কোভিড-১৯ টিকা তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় প্রাথমিক ফলাফলে ৯০ শতাংশ কার্যকারিতা দেখিয়েছে। অবশ্য টিকাটির নিরাপত্তার তথ্য এখনো নিশ্চিত করা হয়নি।

তবে অন্য টিকাগুলোর চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি টিকাটির এখন তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু হবে বলে জানান হান্ট।

কুইন্সল্যান্ডে হান্ট বলেন, ‘টিকাটি পরীক্ষার প্রথম ধাপে নিরাপদ বলে প্রমাণিত হয়েছে। এ ছাড়া এটি পরীক্ষায় ইতিবাচক অ্যান্টিবডি প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।’

হান্ট আরও বলেন, ‘টিকাটি তার কাজ করেছে। এটি বয়স্কদের ক্ষেত্রে বিশেষ করে ভালো ফল দেখিয়েছে। তাই টিকাটির এ ফলাফলকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯-এর ঝুঁকির তালিকায় থাকা লোকজনের মধ্যে বয়স্কদের সংখ্যা বেশি। এ টিকা পরীক্ষার সব ধাপ সফলভাবে শেষ হলে ২০২১ সালের শেষ প্রান্তিকে এটি সরবরাহের জন্য প্রস্তুত করা যাবে।’

অস্ট্রেলিয়া ইতিমধ্যে কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি টিকাটির ৫ কোটি ১০ লাখ ডোজ কিনতে সম্মতি দিয়েছে। টিকাটি কেনার পাশাপাশি পরীক্ষায় সফল হলে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাটি কেনার ব্যাপারেও সম্মতি দিয়েছে।