দিনাজপুরে ফুলকপি চাষে ভাগ্য ফিরেছে কৃষকের

শাহ্ আলম শাহী ,দিনাজপুর থেকেঃ দিনাজপুরে শীতকালীন আগাম সব্জি ফুলকপি চাষ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অনেক স্থানে গড়ে উঠেছে ফুলকপি পল্লী। অনুকুল আবহাওয়া ও অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করায় এবার এ অঞ্চলে শীতকালীন আগাম সব্জি ফুলকপি’র ভালো ফলন হয়েছে। এ ফুলকপি চাষ করে ভাগ্য ফিরেছে এবার অনেক কৃষকের।
দিনাজপুরের বিস্তৃর্ণ ফসলের মাঠ জুড়ে এখন আগাম শীতকালীন সব্জি ফুলকপি’র সমারোহ। শীতকালীন আগাম সব্জি ফুলকপি’র পরিচর্যা ও উত্তোলনে ব্যস্ত কৃষক। গ্রামাঞ্চলের বেকার যুবকরাও সোনার হরিণ চাকরির দিকে না ঝুঁকে নেমে পরেছেন সব্জি চাষে। পাশাপাশি শ্রমিকদেরও সৃষ্টি হয়েছে কর্মসংস্থানের।
মার্বেল,হোয়াইট ও লিনজা সহ বিভিন্ন উচ্চ ফলনশীল আগাম জাতের শীতকালীন সব্জি ফুলকপি আবাদ করেছেন তারা। এ জাতের ফুলকপি চাষ করে তারা প্রতি বিঘা জমি থেকে লাভ করছেন, এক লাখ টাকা।
বীরগঞ্জ উপজেলার কয়েকজন কৃষক জানালেন,এবার আগাম ফুলকপি চাষ করে তারা আশানুরূপ ফলনের পাশাপাশি দামও পেয়েছেন ভালো। প্রতি কেজি ফুলকপি ক্ষেতেই বিক্রি হয়েছে,৬০/৬৫ টাকা।
দিনাজপুর জেলার ১৩ টি উপজেলায় এবার ১২ হাজার ৭’শ ৯০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সব্জি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও চাষ হয়েছে অনেক বেশী জমিতে। এর মধ্যে আগাম জাতের ফুলকপি চাষ হয়েছে প্রায় সাড়ে পাঁচশ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে বীরগঞ্জ উপজেলাতে হয়েছে সব চেয়ে বেশী চাষ। দাম ভালো পাওয়ায় কৃষক ক্ষেতেই বিক্রি করছেন ফুলকপি। বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকারেরা এসে এসব ফুলকপি কিন নিয়ে যাচ্ছেন । জেলার চাহিদা মিটিয়ে এসব ফুলকপি চলে যাচ্ছে রাজধানী ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম, বরিশালসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশসমূহে। এমনি কথা জানালেন,নারায়নগঞ্জ থেকে আসা পাইকার মাসুদ শেখ। তিনি জানালেন,প্রতিদিন ২/৩ ট্রাক ফুলকপি তিনি ঢাকা,নারায়গঞ্জ ও সিলেটে পাঠান।
লাভ জনক ফসল হওয়ায় শীতকালীন আগাম এ ফুলকপি চাষে কৃষকদের সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে আসছে,কৃষি বিভাগ।
দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো.তৌহিদুল ইকবাল জানান,আগাম জাতের শীতকালীন সব্জি ফুলকপি চাষ করে ব্যাপক লাভবান হয়েছেন,এ অঞ্চলের কৃষক। এ ফুলকপি’র এবার ভালো দাম পাওয়ায় আগামীতে এ অঞ্চলে ফুলকপি চাষাবাদের পরিধি আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছেন তিনি।