গাভীর কৃত্রিম প্রজনন প্রক্রিয়াকে আধুনিকায়নে কামালের সফলতা

শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর থেকেঃ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে গাভীর কৃত্রিম প্রজনন প্রক্রিয়াকে আধুনিকায়ন করে সফলতার পাশাপাশি চমক সৃষ্টি করেছে,দিনাজপুরের পার্বতীপুর প্রাণীসম্পদ বিভাগের এআই টেকনিশিয়ান আবু হেনা মোস্তফা কামাল। গাভীর প্রচলিত কৃত্রিম প্রজননের ক্ষেত্রে কোন কোন সময় কিছুটা সমস্যা থাকলেও নতুন এই পদ্ধতি ব্যবহারে নির্ভুলভাবে প্রজনন সম্ভব হচ্ছে। এ পদ্ধতিটি গাভী প্রজননে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
উদ্ভাবক এআই টেকনিশিয়ান আবু হেনা মোস্তফা কামালসহ প্রাণিবিদ ও চিকিৎসকদের দাবী ইউরোপীয় অনেক দেশে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হলেও বাংলাদেশে এই প্রযুক্তির উদ্ভাবন এবং ব্যবহার এটাই প্রথম।যা তিনি আবিস্কার করেছেন এবং উপকারভোগিরা সুফল ভোগ করছেন।
প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে গাভীর কৃত্রিম প্রজনন প্রক্রিয়াকে আধুনিকায়ন করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন এলাকাবাসি।
কৃত্রিম প্রজনন প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত সকহারি পরিচালক ডা. আকলিমা খাতুন আখি জানান,গাভীর প্রচলিত কৃত্রিম প্রজননের ক্ষেত্রে হাত ব্যবহার করে সিমেন প্রবেশ করানো হয়। তাই সিমেন স্থাপন করতে হয় অনুমান করে এবং সেক্ষেত্রে অনেক সময় প্রজনন ব্যর্থ হয়। কিন্তু নতুন এই প্রযুক্তির কৃত্রিম প্রজনন সহজেই নির্ভুলভাবে সিমেন স্থাপন করা যায়।
উদ্ভাবিত এই প্রযুক্তিতে ব্যবহার করা হয়েছে এয়ার প্রেসার টিউব, ওয়াইফাই ডিভাইস, উচ্চ ক্ষমতার ইনডোসকপি. ক্যামেরা, স্পেকুলাম, এআই গান, স্পেকুলাম এবং স্মার্ট ফোন। দিনাজপুর অঞ্চলে গাভীর প্রচলিত কৃত্রিম প্রজননের ক্ষেত্রে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে।
এই পদ্ধতি দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়লে গাভী পালনে আরো সহজ হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।