মুসলিম জাতিকে ঐক্যের প্লাটফরমে জড়ো করার মাস রবিউল আউয়াল

মাইজভান্ডারী গাউছিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ ফটিকছড়ি দক্ষিণ ধর্মপুর শাখার উদ্যোগে পবিত্র ইদে মিলাদুন্নবী (দরুদ), হযরত সৈয়দ গোলামুর রহমান মাইজভান্ডারী (র.) ও বিশ্বঅলি শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী (ক:) এর স্মরণে ১৮ অক্টোবর বিকালে হাজি আব্দুল মালেক মার্কেটস্থ কার্যালয়ে সংগঠনের সভাপতি ফজল করিম কোম্পানি এর সভাপতিত্বে এবং সৈয়দ জিয়াউদ্দীনের সঞ্চালনায় চতুর্থ বারের মতো আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অতিথি ও আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন গাউছিয়া হক কমিটি প্রবাসী সদস্য ও পরিচালক মোরশেদ রিমন, সমাজসেবক মুহাম্মদ আইয়ুব, হাজী মুহাম্মদ আব্দুনবী, মুহাম্মদ আবু আহমদ সও, মুহাম্মদ নুরু, মুহাম্মদ মাহবুল আলম সওদাগর, মওলানা মুহাম্মদ আব্দুল মন্নান আনছারী, উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর কন্ট্রাক্টার, প্রবাসী জিয়াউদ্দীন সানি, মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন, ব্যাংকার জাহেদুল আলম, মুহাম্মদ মাসুদ, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ওমর সানী সাব্বী, সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহিম তান্বী, অর্থ সম্পাদক বোরহান উদ্দীন, মইনুল হাসান ফারুক, মওলানা ইকবাল হোসেন, শায়ের জিয়াউদ্দিন, মুহাম্মদ মিজান, মুহাম্মদ আরমান, মুহাম্মদ জাহেদ, মুহাম্মদ নুরুল আলম, সৈয়দ তসলিম উদ্দিন, সেকান্দর মিয়া, দিদারুল আলম, মোস্তাক মিয়া চৌধুরী প্রমুখ। বক্তারা বলেন, আজ পৃথিবীর মানুষ যেখানে এক পশলা শান্তির জন্য দিক বিদিক ছোটাছুটি করছে, শান্তি নামের অশান্ত কড়াইয়ে উত্তপ্ত অনলে দগ্ধ হচ্ছে প্রতি নিয়ত। সেখানে একমাত্র শান্তির অগ্রদুত প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (দ.) এর জীবনাদর্শই নিশ্চিত করতে পারে কাঙ্খিত শান্তি নামের শ্বেত কপোতটিকে। সমগ্র বিশ্বের অনৈক্যের রজ্জুয় দোদুল্যমান, মুসলিম জাতিকে ঐক্যের মজবুত প্লাটফরমে জড়ো করার দীপ্ত শপথ গ্রহণের মাস হলো মাহে রবিউল আউয়াল। তাই যথাযোগ্য মর্যাদায় এই মাসকে পালন করা প্রতিটি মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব। বক্তারা আরো বলেন, এদেশে ইসলাম এসেছে আউলিয়া কেরামের মাধ্যমে। ইসলামের মধ্যে পরিপূর্ণ রূপে প্রবেশ করতে হলে আউলিয়া কেরামের পথ অনুসরণ করতে হবে। এর মধ্যে প্রকৃতপক্ষে যুবসমাজ মুক্তি পেতে পারে। মানবজীবনের অন্যতম মহৎগুণ হচ্ছে রাসুল (দ.)’র প্রতি ভালবাসা। এ গুণ অর্জনের চেষ্টা ও অনুশীলন ছাত্র-যুবসমাজকে মর্যাদা ও গৌরবের শ্রেষ্ঠতম স্থানে পৌছে দিতে পারে। হযরত সৈয়দ গোলামুর রহমান মাইজভান্ডারী (র.), বিশ্বঅলি শাহানশাহ্ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী ও হক্কানী পীর মাশায়েখগণই সেই পথেই আজীবন কাজ করে থাকেন। তাই আজকের সমাজ থেকে বিদ্যমান হিংসা-বিদ্ধেষ, খুন রাহাজানী থেকে মুক্তি পেতে বিশ্বঅলি শাহানশাহ ও হযরত সৈয়দ হাসান মাইজভান্ডারী আউলিয়া কেরামের জীবনাদর্শ অনুশীলন অপরিহার্য। এলাকায় একটি আলোকধারা পাঠাগার ও কম্পিউটার সেন্টার করার প্রস্তাব দেন আলোকধারা পাঠাগারের পরিচালক মোরশেদ রিমন। পরে মিলাদ কিয়াম ও মোনাজাতের পর তাবারুক বিতরন করা হয়।