ক্রুজশিপ ‘এমভি বে ওয়ান’ যাবে সেন্ট মার্টিন

অত্যাধুনিক ক্রুজশিপ চলবে বাংলাদেশে। কক্সবাজার থেকে সেন্ট মার্টিন রুটে পর্যটকদের জন্য অত্যাধুনিক ক্রুজশিপ এনেছে চট্টগ্রামের একটি প্রতিষ্ঠান। সংস্কারের পর অক্টোবরের শেষে অথবা নভেম্বরের শুরুর দিকে ওই পর্যটক পরিবহনে যুক্ত হবে আধুনিক এ জাহাজটি।

গত শনিবার জাপান থেকে ‘এমভি বে ওয়ান’ নামের জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দর এলাকায় এসেছে। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স নামে একটি প্রতিষ্ঠান জাপান থেকে কিনেছে জাহাজটি। সামান্য সংস্কারের পর জাহাজটি পুরোদমে যাত্রী পরিবহনে যুক্ত হবে বলে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

জাহাজটিরে নাম আগে ‘সিলভিয়া সারু’ থাকলেও মালিকানা বদলের পর এর নাম হয়েছে ‘এমভি বে ওয়ান’।
কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্সের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ (এডমিন) কামাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “কক্সবাজার-সেন্ট মার্টিন নৌ রুটে বিলাসবহুল পর্যটকসেবা দেওয়ার জন্য এ জাহাজটি আনা হয়েছে।”

তিনি জানান, গত শনিবার জাহাজটি মেরিন একাডেমির পাশে কর্ণফুলী ড্রাইডক জেটিতে এসে ভিড়েছে। এটি এসেছে জাপানে ইয়োকোহামা বন্দর থেকে। জেটিতে সংস্কারের পর এটি কক্সবাজারে নেওয়া হবে।

পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট অনুমতির প্রেক্ষিতে আগামী অক্টোবরের শেষ নাগাদ অথবা নভেম্বরের শুরুর দিকে পর্যটকদের পরিবহনের কাজে যুক্ত হতে পারে বলে জানান তিনি।

এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ সড়কের দরিয়ানগরে জাহাজটির জন্য নতুন একটি জেটি নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। টেকনাফ থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জাহাজ দিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাত্রী পরিবহন করা হয়ে।

কিছুদিন আগে কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্সের অপর একটি জাহাজ ‘কর্ণফুলী এক্সপ্রেস’ কক্সবাজার থেকে সেন্ট মার্টিন রুটে প্রথম সরাসরি যাত্রী পরিবহন শুরু করে।

এটিতে দেড় হাজারের মতো যাত্রী পরিবহন করা যায়। কক্সবাজার সদরের নুনিয়ারছড়া এলাকা থেকে জাহাজটি ছেড়ে থাকে।

শিপ বিল্ডার্সের কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন বলেন, “কক্সবাজার থেকে সেন্ট মার্টিন রুটে আমাদের অন্য একটি জাহাজ থাকলেও সবধরনের আধুনিক সুযোগ সুবিধা নিয়ে যাত্রী পরিবহন করবে বে ওয়ান।” তিনি জানান, কেবিন, প্রেসিডেন্ট স্যুট, সাধারণ আসন মিলিয়ে প্রায় দুই হাজারের মতো আসন থাকছে বে ওয়ানে।

প্রায ১২১ মিটার দৈর্ঘ্যের, ১৫ দশমিক ৩ মিটার প্রস্থের এবং ৫ দশমিক ৪ মিটার গভীরতার জাহাজটিতে রেস্তোরাঁও থাকছে।

জাপানের ‘মিতসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ’ এর তৈরি জাহাজের সর্বোচ্চ গতি থাকবে ২৪ নটিক্যাল মাইল। তবে সেন্ট মার্টিন রুটে এটি ১৮ থেকে ২০ নটিক্যাল মাইলে চলবে বলে জানা গেছে।

>আকমাল হোসেন এর ছবিটি দৈনিক দেশ রূপান্তর থেকে নেয়া