স্বামীর হাতে স্ত্রী, ছেলের হাতে মা নিহত

পেকুয়া(কক্সবাজার)প্রতিনিধি
কক্সবাজারের পেকুয়ায় স্বামী মোঃ আলমগীরের হাতে স্ত্রী সালমা আক্তার (১৫) ও ছেলে নাছির উদ্দিনের হাতে বৃদ্ধা মা সামশুনাহার (৮৩) নিহত হয়েছে।
নিহত সালমা টইটং ইউপির পন্ডিত পাড়া এলাকার বাদশা মিয়ার মেয়ে এবং নিহত সামশুনাহার বারবাকিয়া ইউপির বদিউল আলমের স্ত্রী।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ঘাতক মোঃ আলমগীরকে চট্টগ্রাম পাঁচলাইশ থানা পুলিশ আটক করেছে। তিনি বারবাকিয়া পাহাড়িয়াখালী এলাকার জাফর আলমের ছেলে।
অপর দিকে পেকুয়া থানা পুলিশ ঘাতক ছেলে নাছিরকে গ্রেফতার করেছে। তিনি বারবাকিয়া ভারুয়াখালী এলাকার বদিউল আলমের ছেলে।
বুধবার সকাল সাড়ে ৫টা ও সকাল ১০টায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সালমার মা মর্তুজা বেগম বলেন, গত তিনমাস আগে দা-বাহিনীর প্রধান নাছিরের সহযোগিতায় কিশোরী মেয়েকে জোরপূর্বক নিয়ে যায় ডাকাত আলমগীর। নিয়ে যাওয়ার পর বেশ কয়েকবার মারধর করে আহত করে। মারধরের বিষয়টি আমি পেকুয়া থানায় অবগত করলেও কোন উদ্যোগ নেয়নি থানা পুলিশ। সর্বশেষ গত শনিবার মেয়েকে গোপাঙ্গে লোহার রড় দিয়ে আঘাত করে। একই সাথে সর্বশরীরে পিটিয়ে আহত করে সংঘবদ্ধ ডাকাত দল। রবিবার চট্টগ্রাম মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। বুধবার মৃত্যুর কুলে ঢলে পড়েন। তাকে হত্যা করা হয়েছে এমন তথ্য পাঁচলাইশ থানার ওসিকে অবগত করলে তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
এদিকে ভারুয়াখালীতে ছেলের হাতে মা নিহতের ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য মুহাম্মদ ইউনুস জানায়, নাছির উদ্দিন ও তার ভাইদের মধ্যে বসতভিটার জায়গা নিয়ে বিরোধ রয়েছে। মঙ্গলবার রাতে নাছির উদ্দিন ধারালো দা নিয়ে হাকাবকা করে। আমরা গিয়ে তাকে শান্তনা করে বাড়িতে ঢুকিয়ে দিই। নাছির উদ্দিন বাড়িতে মাকে নিয়ে থাকত। সকালে ঘরের দরজা বন্ধ করে রাখে নাছির উদ্দিন। অনেক ডাকাডাকি করেও কোন সাড়া শব্দ না পেলে আমরা পুলিশকে খবর দিই। পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় সামশুন্নাহারের মরদেহ মাটিতে পড়ে থাকে।
পেকুয়া থানার এসআই সুমন সরকার জানায়, বৃদ্ধা শামসুন্নাহারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় নাছির উদ্দিন নামের এক ছেলেকে আটক করা হয়েছে। মহিলার গায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
পেকুয়া থানার এসআই আতিকুর রহমান বলেন, গত রবিবার সালমাকে চট্টগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বুধবার ভোরে মারা যায়। স্বামী আলমগীরকে পাঁচলাইশ থানায় আটক করেছে বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। পেকুয়া থানায় মামলা হওয়ার পর এঘটনায় গ্রেফতার দেখানো হবে।
পেকুয়া থানার ওসি (তদন্ত) মাইন উদ্দিন জানায়, বৃদ্ধ মহিলার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। কিশোরী সালমার লাশ চমেক হাসপাতালে রয়েছে। দুটি ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।