ছাত্রলীগকে তার গৌরবময় ঐতিহ্যের ধারা বজায় রাখতে হবে

চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের শিক্ষা দিবসের আলোচনা সভায় সিটি মেয়র পদপ্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী

১৭ সেপ্টেম্বর জাতীয় শিক্ষা দিবস ও আইয়ুব সরকারের শিক্ষা সংকোচন নীতির প্রতিবাদ ও সর্বস্তরের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা গ্রহনের দুয়ার অবারিত করার আন্দোলনে ৬২ সালের এই দিনে শহীদ ওয়াজিউল্লাহ, গোলাম মোস্তফা, বাবুল, সুন্দর আলীদের মহান আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা ও স্মরণ করতে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ আলোচনা সভা ও ছাত্র সমাবেশের আয়োজন করে।
গতকাল চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে অনুষ্ঠিত এ ছাত্র সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ও বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী ড. অনুপম সেন।
প্রধান আলোচকের হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও সিটি মেয়র পদপ্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
এসময় রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একটি ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন। অনেক সোনালী অর্জনের গৌরবে সমৃদ্ধ ছাত্রলীগ তার ঐতিহ্যের ধারা টিকিয়ে রাখতে হবে। জাতির স্বার্থে ছাত্রলীগ বার বার রক্ত দিয়েছে, আত্মবলিদান করেছে। আমাদের ইতিহাস করুণ আর্তনাদের ইতিহাস। শোষন, নিপীড়ন, বঞ্চনার ইতিহাস। করুণ ইতিহাসের বিপরীতে ছাত্রলীগ অধিকার আদায়ের সংগ্রাম, আত্মত্যাগ ও গৌরবের ইতিহাস সৃষ্টি করেছে বারবার। বাঙালি জাতিকে যাতে অশিক্ষিত, মূর্খ করে রাখা যায়। যাতে, সহজেই প্রহসন-প্রবঞ্চনা করা যায় সেজন্য স্বৈরাচারী আইয়ুব সরকার শরীফ কমিশন এর মাধ্যমে একটি শিক্ষানীতি প্রণয়ন করে। যাতে কেবল পাকিস্তানের বাইশ ধনী পরিবারের লেখাপড়ার সুযোগ ছিল। আমাদের মধ্যবিত্ত ও নিম্মবিত্তদের জন্য শিক্ষা লাভের পথ কঠিন করে দিয়েছিল এ শরীফ শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট। এর প্রতিবাদে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের মূল নেতৃত্বে থেকে ছাত্রলীগ সফল আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এ শিক্ষানীতি বর্জন করে এবং সরকারকে এ নীতি বাতিল করতে বাধ্য করে। শিক্ষা গ্রহন আমাদের সুযোগ নয়, আমাদের অধিকার। যারা শিক্ষকদের কিনে নিতে চায়, শিক্ষাকে যারা পণ্য বানাতে চায় তাদেরকে সর্বক্ষেত্রে বর্জন করতে হবে। সকল শ্রেনী পেশার নাগরিকরা যাতে শিক্ষার অধিকার পায়, ছাত্রলীগকে সোচ্ছার থাকতে হবে। শিক্ষা ক্ষেত্রে বৈষম্য দুরীকরনে ছাত্রলীগকে ভূমিকা রাখতে হবে। আমাদের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার দেখানো পথে রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন। প্রাথমিক স্তরের শিক্ষাকে অবৈতনিক, বিনামূল্যে বই প্রদান, খাতা, কলম, পেন্সিলের জন্য উপবৃত্তি প্রদান, এমনকি স্কুলে যাতে সকল স্তরের শিক্ষার্থীর একই মান ও ধরনের পোশাক পড়তে পারে সেজন্য অর্থ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন। পিছিয়ে পড়া মেয়েদেরকে শিক্ষা ক্ষেত্রে এগিয়ে আনার জন্য নানান পদক্ষেপ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে আমাদের সরকার।
মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহম্মেদ ইমু’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীরের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি-তালেব আলী, ইয়াছিন আরাফাত কচি, নোমান চৌধুরী, একরামুল হক রাসেল, নাঈম রনি, জয়নাল উদ্দিন জাহেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক-খোরশেদ আলম মানিক, আমির হামজা, ত্রাণ ও দূর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক  আবুল মনসুর টিটু, গনশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ওসমান গনি বাপ্পি, উপ-সম্পাদক শফিকুল আলম, শরিফুল ইসলাম আদনান, সহ-সম্পাদক এম হাসান আলী, কায়ছার মোহাম্মদ রাজু, শুভ ঘোষ, সদস্য-মিজানুর রহমান, আরাফাত রুবেল, শেখর দাশ প্রমুখ।