বিলীন হয়ে যেতে পারে “ফ্লোটিং প্যারাডাইস”

নিউজ চট্টগ্রাম থেকে:: পর্যটন শহর হিসাবে পরিচিত কাপ্তাই উপজেলাধীন শিলছড়ি রামপাহাড় এবং কর্নফুলির নদীর কোল ঘেঁষেই গড়ে উঠেছে “ফ্লোটিং প্যারাডাইস রেস্টুরেন্ট”।

২০১২ সালের ২ নভেম্বর এই রেস্টুরেন্টের উদ্বোধন করা হয়। কর্নফুলীর মনোরম দৃশ্যের পাশাপাশি একদিকে রামপাহাড় অন্যদিকে ওয়াগ্গা চা বাগান সব মিলে এর সৌন্দর্য উপভোগ করতে পর্যটকরা এই রেস্টুরেন্টে আসে। বিশেষ করে রেস্টুরেন্টের দক্ষিন দিকে বসে প্রকৃতির অপরুপ দেখতে আগতরা বঞ্চিত হতে চায়না। তাইতো প্রতিদিন শত শত পর্যটক এসে ভীড় করে এই রেস্টুরেন্টে। এখানে এসে পর্যটকরা সব ধরনের খাবারের স্বাদ গ্রহন করেন অনায়াসে। কিন্তু এই রেস্টুরেন্টের দক্ষিণ অংশে দেখা দেয় বিশাল ফাটল। ফাটলের ফলে যেকোন মূহুর্তে কর্নফুলী নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে এর দক্ষিণ অংশ। ফলে ঝুঁকি নিয়ে এই অংশে পর্যটকরা প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করছেন।

এই রেস্টুরেন্টে দুপুরের খাবার গ্রহন করতে আসা রাঙ্গুনিয়ার ইসমাইল হোসেন, রাউজানের পবন চৌধুরী, চট্টগ্রামের মুরাদপুর এলাকার বাসিন্দা পিউ চৌধুরী জানান, এই রেস্টুরেন্টের সৌন্দর্য অসাধারণ। বিশেষ করে এই রেষ্টুরেন্টের পাশের কর্নফুলী নদী যে বাঁক নিয়েছে, সেই দৃশ্য এই রেস্টরেন্টে বসে দারুন ভাবে উপভোগ করা যায়। এছাড়া অপর অংশে চা বাগানের সবুজ পাহাড় মনকে আরো উদ্বেলিত করে। তবে এই অংশে কিছু বড় ধরনের ফাটলের কারণে পর্যটকদের যেকোন মূহুর্তে দূর্ঘটনায় পতিত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে ফ্লোটিং প্যারাডাইসের পরিচালক সরোয়ার উদ্দিন সোহেল জানান, লকডাউনে এই রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকার ফলে পরিকল্পনা থাকা সত্ত্বেও মেরামতের কাজ করা সম্ভব হয়ে উঠেনি। যদিও পর্যটকদের অনুরোধে করোনার কারনে বন্ধ থাকার পর সম্প্রতি রেস্টুরেন্টটি চালু করা হয়েছে। অচিরেই ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় সংস্কার কাজ সম্পূর্ণ করা হবে বলে তিনি জানান।