ইতিহাসে প্রথমবার ছেলেদের সঙ্গে ফুটবল খেলবে নারী

লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণে অনন্য এক নজির সৃষ্টি করতে যাচ্ছেন বিশ্বকাপজয়ী নারী ফুটবলার ইউকি নাগাসুতো। নারী দল ছেড়ে এবার পুরুষ ক্লাবে যোগ দিয়ে তাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লিপ্ত হতে যাচ্ছেন পেশাদার এই নারী ফুটবলার।

যুক্তরাষ্ট্রের পেশাদার নারী লিগের দল শিকাগো রেড স্টারস থেকে ধারে জাপানের অপেশাদার দল হায়াবুসা ইলেভেনে যোগ দিয়েছেন ৩৩ বছর বয়সী এ স্ট্রাইকার। ফলে ইতিহাসের প্রথম নারী ফুটবলার হিসেবে ছেলেদের দলে খেলার রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন তিনি।

নাগাসুতোর এই দলবদলের খবর নিশ্চিত করেছে শিকাগো রেড স্টারস ও হায়াবুসা। জাপানের হয়ে ২০১১ নারী বিশ্বকাপ জিতেছেন নাগাসুতো। পরের বছর লন্ডন অলিম্পিকে রৌপ্য পদকও জয় করেন তিনি। জাপানের স্থানীয় লীগের দল হায়াবুসার হয়ে নাগাসুতো কবে মাঠে নামবেন তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে নতুন ক্লাবের হয়ে যত দ্রুত সম্ভব মাঠে নামতে চান তিনি। জাপানের শীর্ষস্থানীয় জে-লিগ থেকে কানাগাওয়া লিগ কয়েক ধাপ নিচে।

সংবাদমাধ্যমকে নাগাসুতো বলেন, ‘আমি এই বার্তাটা দিতে চাই যে, মেয়েরা ছেলেদের দলেও যোগ দিয়ে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে। সত্যি বলতে ছেলেদের দলে কতটা ভালো খেলবো জানি না। তবে নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করব। অভিজ্ঞতার সঙ্গে পারফরম্যান্সও ভালো হচ্ছে, চ্যালেঞ্জ নেওয়ার এটাই সঠিক সময়।’

যুক্তরাষ্ট্রের মিডফিল্ডার মেগান র‌্যাপিওনি গত নারী বিশ্বকাপে লিঙ্গবৈষম্য নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন। সেখান থেকে প্রেরণা নিয়েই ছেলেদের দলে যোগ দেওয়ার চ্যালেঞ্জটা নিয়েছেন নাগাসুতো। তিনি বলেন, ‘২০১৯ বিশ্বকাপে লিঙ্গবৈষম্য ও অন্যান্য সমস্যা নিয়ে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছে র‌্যাপিওনি। আমি কীভাবে ঠিক একই কাজ করতে পারি এতদিন সেটাই ভেবেছি।’

নাগাসুতোর বড় ভাই গেঙ্কি জে-লিগের সাবেক ফুটবলার। এখন তিনি খেলছেন হায়াবুসায়। নাগাসুতোর এ ক্লাবে আসার পেছনে তাঁর ভাইয়ের অবদান আছে। গেঙ্কি বলেন, ‘এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সে বলে আসছে ছেলেদের দলে খেলতে চায়। তাই বড় ভাই হিসেবে বোনের স্বপ্ন পূরণ করাটা আমার দায়িত্ব ছিল।’