মসজিদ থেকে বের করে দেয়ার অনুমতি ধর্মে নেই

মসজিদে কেউই ঘুমাতে যায় না। তাহলে এ সাইনবোর্ড কার জন্য?

লক্ষ করলে দেখবেন, মারাত্মক কায়িক পরিশ্রমে ক্লান্ত কিছু মানুষ, ঢাকার বাইরে থেকে আসা কিছু পথিক-মুসাফির বা দুনিয়ার সব দিক থেকে হতাশ হয়ে আল্লাহর ঘরে আশ্রয় নেয়া কিছু মানুষ- জোহরের নামাজ বা আসরের নামাজের পর জিকির করে একটু আরাম করছে, কারও হয়তো চোখ লেগে গেছে।

কেউ তন্দ্রায় গেছে। মসজিদ কমিটির ভাষায় এটিই মসজিদের ঘুম, এটিই নিষেধ। এ জন্যই সাইনবোর্ড দেয়া। কমিটির নির্দেশে মসজিদের খাদেম বা মুয়াজ্জিন সাহেবের চেঁচামেচিতে আল্লাহর ঘরে আশ্রয় নেয়া বেচারা আতঙ্কিত হয়ে কোনো রকম ইজ্জত নিয়ে পালান।

অথচ ইসলামের ইতিহাস পড়ে দেখুন, নবীজি (সা.)-এর মসজিদ ছিল মদিনা রাষ্ট্রের পার্লামেন্ট, আইনসভা, প্রধান বিচারালয় ও সরাকারি ট্রেজারি। তদুপরি ছিল বিদেশি মেহমানদের জন্য রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন, পথিক-মুসাফির, গৃহহীন শরণার্থীদের আশ্রয় শিবির, অভাবগ্রস্তদের ত্রাণকেন্দ্র।

আফসোস! আমরা মসজিদ থেকে ঘোষণা দিয়ে মুসল্লিদের বের করে দিচ্ছি। এটি কেমন ইসলাম!

‘মসজিদে ঘুমানো নিষেধ’ সাইনবোর্ডের আড়ালে আল্লাহর কাছে আশ্রয় নেয়া বান্দাদের আল্লাহর ঘর থেকে বের করে দেয়ার অনুমতি ধর্মে নেই।

লেখক: তোফায়েল গাজালি, পরিচালক, আল কোরআন ইন্সটিটিউট, ঢাকা