সুস্থ থাকার উপায়

প্রচণ্ড গরম আবহাওয়া থেকে আনন্দ ও স্বস্তির এক ঢেউ এনে দেয়। বৃষ্টির রিমঝিম শব্দের সঙ্গে গরম খিচুড়ি কিংবা বিকেলে চায়ের সঙ্গে ঝাল ঝাল পাকোড়া, আর সেইসঙ্গে পরিবার-প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটানো- বর্ষার মৌসুমের এ এক পরিচিত রূপ।

এই মৌসুমে অসুখ-বিসুখের প্রকোপও অন্যান্য সময়ের থেকে বেশি দেখা যায়। আর সে কারণে এসময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর দিকে দিতে হবে নজর। সেইসঙ্গে করোনাভাইরাস নামক মহামারীর ভয় তো রয়েছেই। ঋতু পরিবর্তনের সময়ে নানা রকম ভাইরাস আমাদের সংক্রমিত করে রোগের ঝুঁকিতে ফেলে দিতে পারে; তাই আমাদের স্বাস্থ্যের যত্ন নেয়া গুরুত্বপূর্ণ।

বেশ কয়েকটি উপায় আমাদের ইমিউন সিস্টেমের স্বাভাবিক ক্রিয়াকলাপকে স্বাস্থ্যকর রাখতে সহায়তা করে। যেমন ভালো পুষ্টি, নিয়মিত অনুশীলন, ভালো স্বাস্থ্যবিধি, স্ট্রেস হ্রাস এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম। এই বর্ষায় ঘরে সুস্থ থাকার উপায় প্রকাশ করেছে টাইস অব ইন্ডিয়া-

upay

ফাইবার বাদ দেবেন না
পর্যাপ্ত ফাইবার গ্রহণ হজম প্রক্রিয়াকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। বেশিরভাগ শস্য জাতীয় খাবার, ফলমূল, শাকসবজি, বাদাম এবং বীজ আমাদের ডায়েটে ফাইবারের উৎস। কিছু ফাইবার পেঁয়াজ, রসুন, কলা ইত্যাদিতে পাওয়া যায়, যাপ্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যকর অন্ত্রে মাইক্রোফ্লোরা বজায় রাখতে সহায়তা করে।

upay

সকালের খাবারটি স্বাস্থ্যকর হোক
প্রতিদিন সকালের খাবার অবশ্যই স্বাস্থ্যকর হওয়া উচিত। স্বাস্থ্যকর সকালের খাবার বলতে তাতে শর্করা, ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজের মিশ্রণ হওয়া উচিত। এসব অনেকগুলো খাবারে পাওয়া যায়। সকালের খাবারে শস্য, ফল/ শাকসবজি এবং দুধ রাখতে পারেন। আস্ত দানা দিয়ে তৈরি খাবার, এক গ্লাস দুধ বা এক বাটি দই এবং কাটা ফল বা শুকনো ফল / বাদামও রাখতে পারেন। সকালে স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে দিনের দিন কাটে সতেজ ও ক্লান্তিহীন।

upay

খাবার উপভোগ করুন তবে কম খান
বেশিরভাগ সময় যদি বাড়িতেই থাকা হয় তবে তা আপনার ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে। সুতরাং এই সময়ে ব্যায়াম আরও গুরুত্বপূর্ণ। সেইসঙ্গে খেতে হবে পরিমিত। খাওয়ার আগে একটি ছোট প্লেট, বাটি এবং গ্লাসে খাবারগুলো সাজিয়ে নিন। খাওয়ার সময় খাবার উপভোগ করার জন্য সময় নিন, কারণ খুব দ্রুত খেলে অজান্তেই অতিরিক্ত খাওয়া হয়ে যায়।

upay

হাইড্রেটেড থাকুন
সর্বোত্তম সুস্বাস্থ্যের জন্য ভালো হাইড্রেশন গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন। সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য চা/কফির মতো ক্যাফিনেটেড পানীয় পান করতে পারেন। তবে খুব বেশি নয়, প্রতিদিন ১-২ কাপ পান করা যেতে পারে। কারণ অতিরিক্ত মাত্রায় ক্যাফেইন স্বাস্থ্যের পক্ষে বিপজ্জনক হতে পারে।

ফল ও সবজি
সৃজনশীল হোন! যে কোনো খাবারে ফল যোগ করুন। সকালের খাবারে কাটা কলা বা স্ট্রবেরি কম ফ্যাটযুক্ত দইয়ে যুক্ত করুন এবং এটি আপনার প্রিয় সিরিয়াল দিয়ে উপভোগ করুন। দুপুরের খাবারে আপেল বা কমলার টুকরা দিয়ে সালাদ করুন। রাতের খাবারের সময় মিষ্টি হিসাবে এক বাটি ফল রাখুন।

upay

সবজিও খান প্রচুর। লাল, কমলা, সবুজ বা বেগুনি রঙের সবজি দিয়ে আপনার থালা সাজান। এসবে ভিটামিন এবং খনিজের মতো প্রতিরক্ষামূলক পদার্থ রয়েছে। রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা বেশ কয়েকটি শারীরিক ক্রিয়াকলাপ এবং সর্বোত্তম ইমিউন ফাংশনের জন্য প্রয়োজনীয়। সর্বাধিক উপকারিতা পেতে মৌসুমী এবং তাজা পণ্য ফল ও সবজি খান।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন
খাবার প্রস্তুত করার আগে কমপক্ষে ৪০-৬০ সেকেন্ডের জন্য পরিষ্কার পানি এবং সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করুন। খাবারের প্রস্তুতির আগে এবং পরে রান্নাঘরের সিঙ্ক, সরঞ্জামাদি পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত করুন।