যে ভাবে AC চললে করোনায় সুরক্ষিত থেকে বিদ্যুৎ বিল কম আসবে

ঘরে বাইরে প্রচণ্ড গরম। সারা দিনে বাইরে কাজের শেষে শান্তিতে ঘুমাতে ঘরে এসি লাগাতে চান অনেকে। তবে এসি লাগাতে চাইলেও বিদ্যুৎ বিল বেশি আসার কারণে অনেকে এসি লাগাতে চান না।

তবে আপনি জানেন কি? কিছু নিয়ম মেনে যদি আপনি এসি চালান তবে বিদ্যুৎ বিল কম আসবে। শুধু মাত্র নিয়ম না মানার কারণে আপনার বিদ্যুৎ বিল বেশি আসবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসি কেনার আগে সর্তক হতে হবে। মনে রাখবেন সব সময় ফাইভ স্টার এসি কেনার দরকার নাই।

এসি যদি বছরে গড়ে ১০০০ ঘণ্টার কম চলে এবং বিদ্যুতের ইউনিট পিছু খরচ যদি ৫ টাকা হয় তবে ৩ স্টার স্প্লিট এসি কিনলেই চলবে।

কিন্তু এসি যদি গড়ে বছরে ১০০০ ঘণ্টা থেকে ১৫০০ ঘণ্টা চলে তবে ফাইভ স্টার স্প্লিট এসি কেনাই ভাল।

আসুন জেনে নেই যেভাবে এসি চালালে কমবে বিদ্যুৎ বিল।null

১. এসির টেম্পারেচার অবশ্যই ২৪ থেকে ২৬ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের মধ্যে রাখতে হবে।
২. রাতে স্লিপ মোডে এসি চালান। বিদ্যুৎ অপচয় কমবে।

৩. ভোরের দিকে এসি বন্ধ করে দেওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন।

৪. রাতে ৫ ঘণ্টা এসি চললে, পরবর্তী কিছু ক্ষণ এসি ছাড়া থাকাই যায়।

৫. এসি বেশি পুরনো হয়ে গেলে তা বদলে নিন। পুরনো এসিগুলো সে রকম বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী নয়।

৬. এসির ফিল্টারটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর পরিষ্কার করতেই হবে।

৭. এসিতে টাইমার ব্যবহার করুন যাতে ঘর ঠাণ্ডা হয়ে গেলে আপনা থেকেই বন্ধ হয়ে যায় যন্ত্রটি।

৮. আপনার সিলিং ফ্যানটিকেও ব্যবহার করুন এসির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে।
৯. দিনের বেলা ঘরে তাপ ঢোকার উৎসগুলিকে বন্ধ করুন।

করোনা ভাইরাস রুখতে ঠিক কত তাপমাত্রায় এসি চালাতে হবে, তা জানিয়ে দিল কেন্দ্র।
জানানো হয়েছে, ২৪ থেকে ৩০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় এই ভাইরাসের সংক্রমণ কম হয়। ঘরের তাপমাত্রা এটাই রাখতে বলছে কেন্দ্র। শুক্রবার কেন্দ্রের তরফে একটি অ্যাডভাইজরি প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে ইন্ডিয়ান সোসাইটি অফ হিটিং রেফ্রিজারেটিং অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনায় উঠে আসা একটি গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে ৷  বলা হচ্ছে, এসির আপেক্ষিক আর্দ্রতা  ৪০ থেকে ৭০ শতাংশের মধ্যে রাখতে হবে।
এই গাইডলাইনে কী বলা হয়েছে?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসি চালানোর পর ঘরের জানলা একটু খোলা রাখতে হবে।
এরফলে ঘরের ঠান্ডা হাওয়ার সার্কুলেশনের সঙ্গে বাইরের হাওয়ায় একটু  ঘরে ঢুকবে।
ভিতরের হাওয়ায় কিছুটা বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবে।
ঘরের আপেক্ষিক আর্দ্রতা কখনই ৪০ শতাংশের নীচে নামতে দেওয়া যাবে না।
গাউডলাইনে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে আরও একটি বিষয
লকডাউনের ফলে সব অফিস বন্ধ রয়েছে। তাই সেগুলি খোলার পর এয়ার সার্কুলেশন ভালোভাবে করতে হবে
বদ্ধ জায়গায় ফাঙ্গাস বা ব্যাকটেরিয়া দ্রুত কাজ করে
তাই অফিস কিংবা প্রতিষ্ঠানগুলি খোলার পর ঘরের দরজা জানলা খুলে এসি ফ্যান চালিয়ে এয়ার সার্কুলেশন ভালোভাবে করে নিতে হবে
বলা হচ্ছে, তাপমাত্রা ও আপেক্ষিক আর্দ্রতার সঙ্গে সংক্রমণের একটি বিস্তর যোগাযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য, এই অ্যাডভাইজরিটি তৈরি করতে একটি টাস্ক ফোর্স কাজ করেছে। কোভিড ১৯ রুখতে মূলত কত তাপমাত্রা প্রয়োজন, তা নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন বিশেষ্ণরা রয়েছেন এই কমিটিতে।