গরু বিক্রয় নিয়ে শংকায় রাউজানের খামারি

শফিঊল আলম, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ রাউজান পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের গহিরা আসাদ চৌধুরীর বাড়ীর ইয়াহিয়া চৌধুরীর পুত্র নাসির উদ্দিন চৌধুরী । গত ২০০০সালে নাসির উদ্দিন চৌধুরী রোগে আক্রান্ত হয়ে তার দুটি পা অবস হয়ে প্রতিব›দ্বী জীবন যাপন করেন। প্রতিব›দ্বী নাসির উদ্দিন চৌধুরী প্রতিব›দ্বী হওয়ার পর ও ঘরে বসে না থেকে কাহারো কাছে হাত না পেতে তার পিতা ইয়াহিয়া চৌধুরীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে চিকদাইর ইউনিয়নের দক্ষিন সর্তা কালচান্দ চৌধুরীর হাটের পাশে প্রতি বৎসর ১লাখ টাকা ভাড়া দিয়ে এক একর ৪০ শতক জমি ভাড়ায় নিয়ে জমিতে তিনটি পোল্টি ফার্ম ও দুটি গরুর খামার গড়ে তোলেন । প্রতিব›দ্বী নাসির উদ্দিন চৌধুরীর তিনটি পোল্টি ফার্মে দশ হাজার সোনালী মুরগী পালন করে সোনালী মুরগী বিক্রয় করেন । প্রতিব›দ্বী নাসির তার গরুর খামারে কোরবানীর সময়েবিক্রয় করার জন্য ছোট ছোঠ গরু ক্রয় করে এক বৎসর লালন পালন করেন । গরুর খামারে প্রতিবৎসর ঈদুল আজহার সময়ে ৪০ থেকে ৫০ লাখ টাকার গরু বিক্রয় করেন। সরেজমিনে পরিদর্শন কালে দেখা যায় প্রতিব›দ্বী নাসিরের গরুর খামারে ২৩ টি বড় গরু রয়েছে । প্রতিটি গরু দুই লাখ টাকা থেকে একলাখ টাকা দামের । নাসিরের পোল্টি ফার্মে রয়েছে দশ হাজার সোনালী মুরগী । নাসিরের গরুর খামার, পোল্টি ফার্ম প্রতিনিয়ত নাসির হাতে ক্র্যচ নিয়ে দেখাশুনা করে। এছাড়া ও নাসিরের ভাই নুরুউদ্দিন সহ ৪জন কর্মচারী গরুর খামার ও পোল্টি ফার্মে সোনালী মুরগী লালন পালন ও্র গরুর খামাওে গরু লালন পালন করেন । প্রতিব›দ্বী নাুিসর উদ্দিন বলেন, প্রতিমাসে দশ হাজার মুরগী তার ফার্ম থেকে বিক্রয় করা হয় । গরুর খামারে ২৩ টি ষাড় বড় সাইজের লালন পালন করে ঈদুল আজহার সময়ে কোরবানীর জন্য বিক্রয় করার জন্য মজুদ রাখথা হয়েছে । ২৩ টি গরুর মধ্যে প্রতিটি গরু ২লাখ টাকা থেকে একলাখ টাকা মুল্যের রয়েছে । চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা ও রাউজানের বিভিন্ন এলাকা ক্রেতারা এসে গরুর খামার থেকে গরু ক্রয় করে নিয়ে যায় । এছাড়া ও হাটহাজারীর ফতেয়াবাদ এলাকায় ও নাসিরের গরুগুলো কোরবানীর সময়ে বিক্রয় করে। এবার ও নাসিরের খামারে ক্রেতারা গরু ক্রয় করার জন্য আসছে । এখনো কোন গরু বিক্রয় করা হয়নি। নাসির গরুর খামার করে খামারে গরু লালন পালন করে প্রতি বৎসর ঈদুল আজহার সময়ে ৪০ থেকে ৫০ লাখ টাকার গরু বিক্রয় করার পর তার খরচ বাদ দিয়ে ৬ থেকে ৮লাখ টাকা পর্যন্ত যে টাকা লাভ হয় তা দিয়ে তার পরিবার পরিজন নিয়ে স্বছন্দে জীবন যাপন করেন । এবৎসর করোনার কারনে নাসিরের গরুর খামারে লালন পালন করা গরু কোরবানীর জন্য সঠিক মুল্যে বিক্রয় করতে পারবেন কিনা তার নিয়ে শংকায় রয়েছে প্রতিব›দ্বী নাসির উদ্দিন চৌধুরী ।