চসিক ভোট হবে করোনার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ভোট হবে করোনার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে। করোনা মহামারি পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন করা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আলগমীর।

তিনি বলেছেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জন্য ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময় আছে। এরপরও ৯০ দিন সময় নেওয়া যাবে। তাই করোনা মহামারি কাটার আগে এ নির্বাচন করার কোনো পরিকল্পনা নেই। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ভোট করা হবে।

রবিবার বিকেলে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

গত ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটির নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা প্রকোপের কারণে ভোটের সাতদিন আগে তা স্থগিত করে কমিশন।

ইসি সচিব বলেন, শুধু চট্টগ্রাম সিটি নয়, স্থানীয় সরকারের অন্যান্য নির্বাচনগুলোও করোনা মহামারি কেটে গেলে ভোট করা হবে। ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করেছিল ইসি। এ সিটির মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের ৫ আগস্ট। নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, ৫ আগস্টের পূর্ববর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের বিধান রয়েছে। ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটির ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা ছিল। করোনার কারণে ২১ মার্চ ভোট স্থগিত করে ইসি। ভোটে বৈধ ছয় প্রার্থী হলেন- আওয়ামী লীগের এম রেজাউল করিম চৌধুরী, বিএনপির শাহাদাত হোসেন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এমএ মতিন, পিপলস পার্টির আবুল মনজুর, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জান্নাতুল ইসলাম।

এ ছাড়া কাউন্সিলর পদে ২ শতাধিক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন। পরবর্তীতে যখনই নির্বাচন হবে, এই প্রার্থীরাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। চসিক ভোট না করলেও যশোর-৬ ও বগুড়া-১ আসনে ভোট করার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, এই দুটি আসনে ভোট করার মেয়াদ শেষ হবে যথাক্রমে ১৮ জুলাই ও ১৫ জুলাই। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণেই ১৪ জুলাই এ নির্বাচন করতে হচ্ছে।

ইসি সচিব আরও বলেন, করোনা মধ্যে ভোটগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাস্থ্যবিধি নিয়েও আমরা ভাবছি। এ ক্ষেত্রে কোনভাবেই যাতে সংক্রমণ ভোটের কারণে না বাড়ে সে সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, যদি দেখা যায়, এই দুই উপ-নির্বাচনে সংক্রমণ বাড়ে তাহলে অন্য উপ-নির্বাচনগুলি আর করব না। সে ক্ষেত্রে আইনি ব্যাখ্যা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সংসদে আরো কয়েকটি উপ-নির্বাচন আছে। যেগুলোর মেয়াদ শিগগিরই শেষ হবে। তবে আমরা যশোর-৬ ও বগুড়া-১ আসনের ভোট পর্যবেক্ষণ করব।