আর্ন্তজাতিক সমবায় দিবসে সমবায় অধিদপ্তরের ভাবনা

আমিনুল ইসলাম

আজ আন্তর্জাতিক সমবায় দিবস। এটি জাতিসংঘের ২৬তম এবং আর্ন্তজাতিক সমবায় মৈত্রী সংস্থা (International Co-operatives Alliance)এর ৯৮তম আর্ন্তজাতিক সমবায় দিবস। জাতিসংঘ এবং আইসিএ ১৯৯৫ সাল থেকে আর্ন্তজাতিক সমবায় দিবস যৌথভাবে পালন করে আসছে। ৯৮তম আন্তর্জাতিক সমবায় দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে Co-operatives for Climate Action অর্থাৎ জলবায়ু সুরক্ষার জন্য সমবায় । আমরা এর একে সুস্থ পরিবেশ সুরক্ষায় সমবায় বললেও ভুল হবে না হয়তোবা। আর্ন্তজাতিক সমবায় দিবসের এ দিনে বাংলাদেশসহ বিশ্বের কোটি কোটি সমবায়ী ভাইবোনকে এবং সমবায় বিভাগের প্রিয় সহকর্মীদের জানাই আন্তরিক অভিবাদন ও শুভকামনা।

বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তন দিনদিন ভয়ংকর হয়ে উঠছে। ১৯৯০ সালের তুলনায় বর্তমানে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের মাত্রা বেড়েছে প্রায় ৫০% এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে বিশ্বের জলবায়ু ব্যবস্থায় দীর্ঘস্থায়ী পরিবর্তন ঘটার আশংকা সৃষ্টি হচ্ছে। এর নেতিবাচক প্রভাব থেকে আমরাও মুক্ত নই। কিন্তু আমরা সেই নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলা করতে চাই। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার গুরুত্ব সম্পর্কে সমবায়ীদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ বছর আর্ন্তজাতিক সমবায় দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে যেটি জলবায়ু সম্পর্কিত সাসটেইনিবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি) ২০৩০ এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। আর্ন্তজাতিক সম্প্রদায়ের সাথে সহঅবস্থানে থেকে সমবায় আন্দোলন মাধ্যমে জলবায়ু এজেন্ডাকে আমাদের দেশের অনুকূলে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করা এবং কোনো সম্প্রদায়কে পেছনে না রেখে সকল সম্প্রদায়ের জন্য একটি সবুজ ও সুন্দর পৃথিবী অর্জনের লক্ষ্যে International Co-operatives Alliance কর্তৃক নির্বাচিত প্রতিপাদ্যটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী।

বর্তমানে দেশে ১ লক্ষ ৭৭ হাজার সমবায় সমিতি রয়েছে যার সদস্য সংখ্যা ১ কোটি ৮ লক্ষ ৩৪ হাজার ৭৫০ জন। এটি দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬.৫০% ভাগ। বর্তমানে সমবায় সমিতিসমূহের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৯ লক্ষ ২১ হাজার ৮৪৬ জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে এবং ১৩ হাজার কোটি টাকার অধিক পুঁজিগঠন হয়েছে। মহাজনদের শোষণ থেকে কৃষকদের রক্ষাকরণ, কৃষির উন্নয়ন, মৎস্যজীবীদের উন্নয়ন, তাঁতীদের উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, জামানতবিহীন ক্ষুদ্র ঋণ ব্যবস্থা চালুকরণ প্রভৃতি সেক্টরের মূলে ছিল এবং আছে সমবায়। ১৯০৮–১৯০৯ সালে যখন এদেশে সমবায় ব্যাংকিং চালু হয়, তখন এদেশে আজকের ব্যাংকিং ব্যবস্থার কোনো নামগন্ধ ছিলো না। আজ আবাসন, শিক্ষাসহ নতুন নতুন সেক্টরে সমবায় পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে। পেশাজীবী সম্প্রদায়ের লোকজন নিজেদের নিয়ে সমবায় সমিতি গঠনে এগিয়ে আসছেন ক্রমবর্ধমান হারে।

সমাজতন্ত্রের দুর্ভাগ্যজনক পতনের পর বিশ্বব্যাপী পুঁজিবাদী ব্যবস্থার প্রকটায়নের সাথে সাথে সম্পদের মেরুকরণ ঘটছে ভয়ংকরভাবে। কল্যাণ রাষ্ট্র ও মিশ্র অর্থনীতি থেকে সরে যেতে প্ররোচনা দিচ্ছেন মুক্তবাজার অর্থনীতির প্রবক্তাগণ। সম্পদের এই নেতিবাচক মেরুকরণের সময়ে মধ্যবিত্ত নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণীর আর্থ-সামাজিক সুরক্ষার প্রকৃষ্ট পথ হচ্ছে সমবায়। অন্যথায় ধবংস হয়ে যেতে পারে মধ্যবিত্ত শ্রেণী যারা সমাজের সাহিত্য-সংস্কৃতির মূল চালিকাশক্তি এবং জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনের কারিগর। সেজন্যই আমেরিকা -ইউরোপসহ পৃথিবীর সকল অঞ্চলে সমবায় আন্দোলন নতুন মাত্রায় গৃহিত ও সম্প্রসারিত হচ্ছে। বাংলাদেশের জন্যও বিষয়টি সমভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তৃণমূল পর্যায়ে গণতান্ত্রিক অভ্যাস গড়ে তোলার আদি ও সবচেয়ে কার্যকর উপায় হচ্ছে সমবায়। সেক্ষেত্রে সমিতিগুলোকে স্থানীয় রাজনীতির ক্রোন্দল, প্রভাব ও হস্তক্ষেপ এড়িয়ে সমবায়ের মূল নীতি ও আদর্শের পথে অটল থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে সকল অবস্থাতেই পারস্পরিক সহমর্মিতা, শ্রদ্ধাবোধ ও অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক নেতৃত্বের প্রতি অকুণ্ঠ ও অটল আস্থাই হচ্ছে সমবায় সমিতিগুলোর সফলতার সাথে টিকে থাকার প্রথম ও প্রধান শর্ত। যেহেতু ঐক্যই সমবায়ের মূল ভিত্তি, সেহেতু একে স্থানীয় রাজনৈতিক বিভাজনের বা ক্রোন্দলের সাথে গুলিয়ে ফেললে সেসব আর প্রকৃত সমবায় সমিতি থাকবে না এবং উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যার্জনে সক্ষম হবে না। সমবায়ী ভাইবোনদের আজ এই অপ্রিয় সত্যটির প্রতি অতন্দ্র দৃষ্টি রাখার সবিনয় পরামর্শ দিতে চাই।

যদিও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়টি এ বছর মুল প্রতিপাদ্য কিন্তু আজ সারা পৃথিবী করোনা মহামারীতে আক্রান্ত। ফলে আজকের এই দিনে সেদিকে আলোকপাত না করে উপায় নেই। এ দুর্যোগে অন্যান্য সেক্টরের মতো সমবায় সেক্টর হুমকির মুখে পড়েছে। সমবায়ের কাজের পথই হচ্ছে যৌথতা। কিন্তু করোনা ভাইরাসজনিত কারণে সেই যৌথ-পথচলা এই মুহূর্তে ব্যাহত হচ্ছে।

*করোনা সংকটে আর্থিক ঝুঁকিতে দেশের পৌনে ২ লাখ সমবায় প্রতিষ্ঠান;
*সমবায় সমিতিসমূহের কাজের গতি ব্যাহত হচ্ছে; পিছিয়ে যাচ্ছে নির্বাচন, এজিএমসহ অন্যান্য
জীবনসঞ্চারী কার্যক্রম;
*সমবায় সমিতিগুলো প্রায় ৩ মাস বন্ধ থাকার ফলে উৎপাদন, বিপণন, প্রণোদনা বাধাগ্রস্ত হয়েছে;
*দীর্ঘসময় ধরে ঋণের টাকা আটকে থাকায় চাপ বাড়ছে সঞ্চয় ভাঙানোর উপর;
*বেকার হয়ে পড়ার আশঙ্কায় পড়েছে সমবায়ে সেক্টরের হাজার হাজার কর্মচারী;

অথচ এই বিপর্যয়েও সমবায় সমিতিগুলো সারাদেশে করোনা-আক্রান্তদের এযাবত ১০ কোটি টাকার অধিক মানবিক সহয়তা প্রদান করেছে এবং সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। এতে প্রমাণিত হয়, দুর্যোগে, মাহামারীতেও সমবায় গুরুত্ববপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। সমবায় একইসাথে মহামারী-জয়েরও মন্ত্র হতে পারে। সমবায় বিভাগের কর্মচারীরা মাঠে কাজ করতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন এবং প্রতিদিন আক্রান্তদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তারা ঝুঁকি নিয়েই সমবায়ীদের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। করোনাকালীন সময়ে বিভাগ, জেলা, উপজেলা পর্যায়ের সকল অফিস এবং সমবায় অধিদপ্তর কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি অনলাইনে সমবায়ীদের সকল প্রকার সেবা প্রদান করা হচ্ছে। সমবায়ীদের সহযোগিতা দানের লক্ষ্যে খোলা রয়েছে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগও। পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মহোদয় এবং মাননীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিনিয়ত আমাদের পরামর্শ ও নির্দেশনা প্রদান করে যাচ্ছেন; সমবায়দের পাশে দাঁড়াচ্ছেন।

এমন পরিস্থিতিতে সমবায়ী সমিতিগুলোকে পুনরায় বেগবান করে তোলাই হচ্ছে আমাদের মূলভাবনা। সমবায় অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে করোনাকালে ক্ষতিগ্রস্ত সমবায় সমিতিসমূহের জন্য ১৫০০ (পনের শত) কোটি টাকার একটি সহয়তা প্যাকেজ প্রণোদনার জন্য সরকারের নিকট আবেদন করা হয়েছে। সেই প্রণোদনা প্যাকেজ পাওয়া যাবে বলেই আমাদের গভীর প্রত্যাশা।

করোনকাল কেটে যাবার পর অথবা তা কিছুটা প্রশমিত হয়ে এলে আমরা নিম্নবর্ণিত লক্ষ্যাদি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি:
* পূর্বের ধারাবাহিকতায় গ্রামীণ কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে অধিকতর অবদান রাখা;
*তরুণ-যুবসমাজ এবং মহিলাদের জন্য টেকসই কর্মসংস্থান সৃজন;
*গ্রামীণ জনগণের আয়বর্ধনের মাধ্যমে নাগরিক সুবিধা গ্রহণের চাহিদা সৃষ্টির মাধ্যমে সরকারের ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সমবায়পদ্ধতিকে কাজে লাগানো; পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু মডেল ভিলেজ ভাবনার বাস্তবায়ন ;
*কৃষিপণ্যের নিরাপদ উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ ও বিপণন ভ্যালু চেইন উন্নয়ন;
*মানসম্পন্ন ও নিরাপদ কৃষিপণ্যের উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ ও গ্রেডিং এর মাধ্যমে মূল্য নির্ধারণ এবং উৎপাদক, ভোক্তা ও বিপণন পর্যায়ে শক্তিশালী সাপ্লাই চেইন সৃষ্টি করে সমবায়ীদের উৎপাদিত নিরাপদ ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্য ‘Cop-BD’ ব্রান্ড হিসেবে বাজারজাতকরণ;
*ক্ষুদ্র পর্যায়ে দুগ্ধ খামার প্রতিষ্ঠার অনুকূল পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে সারা দেশে সমবায়ের মাধ্যমে Two Cow Model’ বাস্তবায়ন করে দুগ্ধ উৎপাদন বৃদ্ধি এবং গ্রামীণ মহিলা ও যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা;
* লবণাক্ত অঞ্চল, হাওড় ও চরাঞ্চলে বিকল্প জীবিকায়নের উদ্যোগ গ্রহণ;
*সমতলভূমির ক্ষুদ্র ও নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে উদ্যোগ গ্রহণ;

সমবায় অধিদপ্তর সমবায় পদ্ধতি অবলম্বন করে একাধিক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে আসছে। আজ বাংলাদেশের দুগ্ধশিল্পে স্বনির্ভরতা অর্জনের যে সোনালি সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে, তা সমবায় পদ্ধতি ও সমবায় বিভাগের মাধ্যমেই ঘটেছে। গাভীপালনের মাধ্যমে গ্রামীণ নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্প, বঙ্গবন্ধু মডেল ভিলেজ প্রকল্প এবং সমবায় পণ্যের বাজার সৃষ্টিকরণের লক্ষ্যে একটি বড় ধরনের উন্নয়ন-প্রকল্প গ্রহণের কাজ এই করোনা মহামারীর মধ্যেও চলমান আছে সমবায় অধিদপ্তরে। সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকারে সাথে সঙ্গতি রেখে পল্লীউন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের আওতাধীন সমবায় অধিদপ্তর এ পরিকল্পনা বিভিন্ন পর্যায়ে যাচাই-বাছাই করে বাস্তবায়ন করবে।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম সমবায়কে পিছিয়ে থাকা মানুষের সকল দুঃখজয়ের নবীনমন্ত্র বলে আখ্যায়িত করেছিলেন। তিনি সেই বৃটিশ আমলে সমবায়-সংগীত রচনা করেছিলেন যার প্রথম দৃটি লাইন এমন, “ওরে নিপীড়িত, ওরে ভয়ে ভীত, শিখে যা আয় রে আয়/ দুঃখজয়ের নবীনমন্ত্র সমবায়, সমবায়।” সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমবায়ের মাধ্যমে এদেশের সাধারণ মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং প্রতিটি গ্রামে কমপক্ষে একটি করে বহুমুখী সমবায় সমিতি গঠনের নির্দেশনা প্রদান করেছিলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাও সমবায়কে উন্নয়নের অন্যতম প্রকৃষ্ট পন্থা হিসেবে গ্রহণ করেছেন। যখনই প্রয়োজন হচ্ছে, তিনি আমাদের সঠিক দিকনির্দেশনা প্রদান করে যাচ্ছেন। আমরা উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত হচ্ছি। তিনি সত্যিকার অর্থেই একজন সমবায়-বান্ধব সরকার প্রধান। সঠিক কর্মপরিকল্পনা, উপযুক্ত প্রশিক্ষণ এবং সমবায়বান্ধব নীতি অনুসরণের মাধ্যমে ‘সকল ভালো কাজে সমবায়ের সম্পৃক্ততায়’ দেশ ও জনগণের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব বলে আমরা মনে করি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত রপকল্প- ২০২১ ও রপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নের উন্নয়ন অভিযাত্রায় সমবায় অধিদপ্তর, সমবায় সমিতিসমূহ এবং বাংলাদেশ জাতীয় সমবায় ইউনিয়নের সফল অংশগ্রহণ থাকবে বলে দৃঢ়ভাবে আমরা দৃঢ়ভাবে আশাবাদী।

করোনা ভাইরাসের কারণে আমরা এবছর এই গুরুত্বপূর্ণ দিবসটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদযাপন করতে পারছি না। এজন্য আমরা দুঃখিত। তবে এই দিবসের লক্ষ্য অর্জনে আমরা সংকল্পবদ্ধ। সমবায়ের মাধ্যমে এ বছরের প্রতিপাদ্যটির সফল বাস্তবায়নে সম্মিলিতভাবে কাজ করে যাবো আমরা। আন্তর্জাতিক সমবায় দিবসে আমি আবারও সমবায়ী ভাইবোনদের শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানাচ্ছি।