ফটিকছড়ির ছয়’শ বছর আগের গায়েবি মসজিদ, এখন অপরূপ!

ইউনুস মিয়া, ফটিকছড়িঃ
বার আউলিয়ার পুণ্যভূমি খ্যাত চট্টগ্রামে প্রত্নতার্ত্মিক কিছু স্মৃতিচিহ্ন আছে মসজিদকে ঘিরে। ৬০০ থেকে ৭০০ বছরের পুরানো ঐতিহ্যের এসব স্মারকও সময়ের স্রোতে হারিয়ে যাওয়ার পথে। মোগল আমলের তৈরি এমনই মসজিদ হচ্ছে হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী ফকিরপাড়া গায়েবি মসজিদ।
ফটিকছড়িতে দৃষ্টিনন্দন কারুকাজে পুনঃনির্মাণ করা হয়েছে হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী ফকিরপাড়া গায়েবি মসজিদ। দিদারুল আলম চৌধুরী নামে এলাকার এক সমাজ সেবক তাঁর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে ওই মসজিদটি পুনঃর্নির্মাণ করেন।
ফটিকছড়ি-বারৈয়ারঢালা সড়ক দিয়ে যেতে হারুয়ালছড়ি চৌধুরী বাড়ির পাশ ঘেঁষে দৃষ্টিনন্দন মসজিদটি যে কারও নজর কাড়বেই। এলাকায় মানুষ এটিকে গায়েবি মসজিদ বলে চেনে।
এলাকায় মানুষ ভাষ্য ও সুত্র মতে, এখন থেকে প্রায় সাড়ে ছয়’শ বছর আগে মোগল আমলে ইসলাম প্রচারে এসে তৎকালীন কিছু আলেম মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন। কালের বিবর্তনে এটি ফকিরপাড়া গায়েবি জামে মসজিদ নামে পরিচিতি লাভ করে।
ঐতিহাসিক মসজিদটি সম্পর্কে এলাকার কয়েকজন প্রবীণ ব্যক্তি জানান, কয়েকশ বছর আগে এই মসজিদ তৈরি হয়েছিল। আমাদের পূর্বপুরুষেরা বলতেন, এটি গায়েবি হিসেবে গড়ে উঠেছিল। স্মরণকালে এটি তিন দফা পুনর্নির্মাণ করা হয়।তারা আরো জানান, মসজিদটিতে কোনো মানত, নিয়ত করলে তা পূরণ হয় বলে আশপাশের ইউনিয়নের মানুষের মধ্যে জনশ্রুতি আছে। বহু দূর থেকে এখানে লোকজন এসে নামাজ আদায় করেন।
২০১৪ সালে এলাকার দানশীল ব্যক্তি মো. দিদারুল আলম চৌধুরী নিজ উদ্যোগে মসজিদটি ভেঙে মালয়েশিয়ার একটি সুদৃশ্য মসজিদের নকশার অনুকরণে মসজিদটি পুনর্নির্মাণ শুরু হয়।
দীর্ঘ সময় পর মসজিদটির নির্মাণকাজ শেষ হয়। একটি সুদৃশ্য মিনারসহ একতলা বিশিষ্ট মসজিদটিতে এক সাথে দেড় থেকে দুই হাজার মুসলি্ল নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদটির পাশে ঐতিহাসিক একটি কবরস্থানও রয়েছে।