পুরো মন্ত্রীসভা নিয়ে পদত্যাগ করেছেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী

পুরো মন্ত্রীসভা নিয়ে পদত্যাগ করেছেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড ফিলিপ। শুক্রবার দেশটির প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রী পরিষদের সকল সদস্য পদত্যাগপত্র জমা দিলে তা ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোন গ্রহণ করেন। এলিসি প্যালেসের সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে মন্ত্রিসভার পদত্যাগের কারণ জানানো হয়নি। তবে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোন তার ৫ বছর শাসনের শেষ দুই বছরে সবকিছু ঢেলে সাজানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এরপরই মন্ত্রিসভার পুনর্বিন্যাসের বিষয়টি নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়। আর সেই গুঞ্জনের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা পদত্যাগ করলেন। জ্যাঁ ক্যাসটেক্সকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোন ।প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নতুন সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান সরকার দৈনন্দিন কাজ চালিয়ে যাবে।
দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, ফ্রান্সে নতুন সরকার গঠনের সময় প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগপত্র জমা দিতে হয়। এরপর নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের কাজ সম্পন্ন করা হয়।
এ দিকে করোনার প্রাদুর্ভাবের পর একটি নতুন পর্ব শুরু করার এবং তার পাঁচ বছরের মেয়াদে তার সরকারকে একটি নতুন ম্যান্ডেট দেয়ার লক্ষ্যে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোন পরিবর্তন আনছেন। ২০২২ সালে শেষ হচ্ছে তার সরকারের মেয়াদ । মাত্র শেষ হওয়া ফ্রান্সের মিউনিসিপ্যাল নির্বাচনে হাভ্-র নামক একটি পৌরসভাতে এডওয়ার্ড ফিলিপ মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। চলতি বছরের শুরু থেকে প্রধানমন্ত্রী ফিলিপ পদত্যাগের বিষয়টি নিয়ে গুঞ্জন চলছিল। করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর সে আশঙ্কা বেড়ে যায়। বিশেষত প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোন এবং ফিলিপের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। এ নিয়ে ফ্রান্সের মূলধারার গণমাধ্যমে আলোচনা হচ্ছিল প্রায় দিনই।
লকডাউন শেষে মন্ত্রিসভা রদবদলের আলোচনা শুরু হয়। যেকোনো মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করতে পারেন, তা বলা হচ্ছিল ফ্রান্সের মূলধারা রাজনীতিতে। অবশেষ শুক্রবার সকালে তিনি পদত্যাগ করলেন। ফরাসী পত্রিকা লু-পারিজিয়ার তথ্য মতে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোন ও প্রধানমন্ত্রী এ্যডওয়ার্ড ফিলিপ এলিজি প্রাসাদে সাক্ষাতে মিলিত হন। ওই বৈঠকেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত হয় এবং শুক্রবার সকালে পদত্যাগের ঘোষণা আসে।