শ্রীলেখার বিষয়ে কিছু বলতে চাই না: ঋতুপর্ণা

বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পরই স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠে অনেক অভিনেতা, প্রযোজক, পরিচালকের বিরুদ্ধে। এরপর টলিউডেও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তুলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। অনেকের সমালোচনা করলেও মূল ক্ষোভ ঝাড়েন জনপ্রিয় জুটি প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত’র উপর।

শ্রীলেখা বলেন, ‘যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও আমাকে নায়িকা নয়, পার্শ্ব চরিত্রই করতে হয়েছে। কারণ, তখন ঋতুর (ঋতুপর্ণা) সঙ্গে প্রসেনজিৎ এর প্রেম। ঋতুর অনেক নেতিবাচক দিক থাকা সত্ত্বেও তাকে নায়িকার চরিত্রে নেওয়া হতো। বুম্বাদাই (প্রসেনজিৎ) চালাত টলিউডকে। পরিচালকরা তার পায়ের কাছে বসে থাকত। ঋতু দেরি করে শুটিং ফ্লোরে আসত।
সবাই ওর জন্য অপেক্ষা করত। কিন্তু তা সত্ত্বেও ওকে একের পর এক ছবিতে নেওয়া হতো। অন্য দিকে আমাদের প্রমাণ করতে হত আমরা টাইমে আসি।’

স্বাভাবিকভাবেই শ্রীলেখার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ঋতুপর্ণা কি বলেন তা শুনতে মুখিয়ে আছে গোটা টলিউড। কিন্তু ঋতুপর্ণা যেনো মুখে কুলুপ এঁটেছেন। এ বিষয়ে কাউকেই কিছু বলছেন না। অবশেষে মানবজমিনের পক্ষ থেকে তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়। বর্তমানে পরিবার নিয়ে সিঙ্গাপুরে অবস্থানরত নায়িকা মুঠোফোনে বাংলাদেশের খোঁজখবর নেন। করোনা পরিস্থিতি নিয়েও তার দুশ্চিন্তার কথা জানান। কিন্তু শ্রীলখার বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। আমার কিছু বলার নেই।’

সূত্র বলছে, ১৯৯৭-২০০১ সময়টাতে প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা জুটির সব থেকে বেশি ছবি হয়েছিল। মোট ৪৫টা ছবিতে কাজ করেছিলেন ঋতুপর্ণা-প্রসেনজিৎ। তবে ঋতুপর্ণা তখন ইতিমধ্যেই তারকা হয়ে গিয়েছেন। তবে শুধু প্রসেনজিৎ নন, চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর সঙ্গে ৩টি, মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে ১টি, অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ৮-১০টি ছবিতে কাজ করেছিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। যে ছবিগুলো সুপার হিট হয়।