শিশুরা মাস্ক না পরতে চাইলে যা করা উচিত

করোনা সংক্রমণের মধ্যেই স্বাভাবিক জীবনযাপনের চেষ্টা চালাচ্ছেন সবাই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যতদিন পর্যন্ত করোনার টিকা আবিষ্কার না হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত করোনা মোকাবেলায় সবাইকে কিছু বিধি নিষেধ মেনে চলতে হবে। সেক্ষেত্রে বড়দের পাশাপাশি ছোটদেরকেই নতুন নিয়ম আয়ত্ত করতে শিখতে হবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে,, বারবার হাত ধোয়া, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা এবং বাইরে বের হওয়ার সময় মাস্ক ব্যবহারের মতো স্বাস্থ্যবিধি ছোটদেরকেও শেখাতে হবে।

তবে অনেক শিশুই মাস্ক পরতে চায় না। বিশেষ করে দীর্ঘসময় এটা ব্যবহার করা তাদের জন্য খুবই কষ্টকর। এই সময় শিশুদের মাস্ক পরতে অভ্যস্ত করতে কিছু বিষয় অনুসরণ করতে পারেন। যেমন-

শিশুদের মাস্কের প্রয়োজনীয়তা বোঝানো :
মাস্ক পরা এই সময় কেন গুরুত্বপূর্ণ সেটা শিশুদের বোঝাতে হবে। তাদের বলেতে হবে, হাত ধোয়ার মতো মাস্ক পরলেও কীভাবে জীবাণু থেকে দূরে থাকা যাবে।

মাস্ক পরার অনুশীলন :
শিশুরা যদি বাড়িতে মাস্কের ব্যবহার দেখে তাহলে তারাও সেটা পরতে চাইবে। এতে মাস্ক সম্পর্কে তাদের ভয় দূর হবে। তাতেও যদি কাজ না হয় তাহলে শিশুর অন্য বন্ধুর অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে ভিডিও কলে কিংবা ছবিতে বন্ধুরাও যে মাস্ক ব্যবহার করছে সেটা দেখাতে পারেন। এতে সে উৎসাহ পাবে।

শিশুদের কিছুটা সময় দিন :
চাইলেই শিশুরা সব সঙ্গে সঙ্গে শিখে ফেলবে এটা ভাবা ঠিক নয়। বাড়িতে মাস্ক ব্যবহার করে অনুশীলন করতে তাদেরকে কিছুটা সময় দিন। তারা যখন খেলনা দিয়ে খেলছে তখন মাস্ক ব্যবহার করতে বলুন। টিভি দেখার সময় কিংবা ভিডিও কলে কোন বন্ধুর সঙ্গে কথা বলার সময় তাদেরকে মাস্ক ব্যবহার করতে বলতে পারেন। ভয় না দেখিয়ে মাস্ক ব্যবহার যে তার দৈনন্দিন জীবনেরই একটা অংশ সেটা বোঝাতে হবে।

শিশুকে মাস্ক ব্যবহারে সহযোগিতা :
শিশু যদি আপনার আনা মাস্ক ব্যবহার করতে না চায় তাহলে তার পছন্দ মতো অনলাইনে মাস্ক অর্ডার করতে পারেন। আবার চাইলে বাড়িতে তার সামনে মাস্ক তৈরি করে দিতে পারেন। তারপর সেটা তাকে নিজের হাতে পরতে বলুন। এতে সে উৎসাহ পাবে।

মাস্কটি আরামদায়ক কিনা পরীক্ষা করুন :
শিশু যে মাস্কটি ব্যবহার করছে সেটা তার জন্য আরামদায়ক হয়েছে কিনা সেটা তার কাছে জানতে চান। তার জন্য সেটা টাইট না লুস হচ্ছে সেটা লক্ষ্য রাখুন। শিশু সমস্যা বোধ করলে মাস্কটি তার উপযোগী করে সেট করে দিন।