করোনায় গর্ভস্থ শিশুর কোনো ঝুঁকি নেই

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেছেন, করোনায় আক্রান্ত গর্ভবতী মায়েদের কাছে থেকে গর্ভস্থ শিশুর আক্রান্ত হওয়ার কোনো তথ্য এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তবে ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরে শিশুটি সংক্রমিত হতে পারে। তাই নবজাতকের সুরক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্ক অবলম্বন করতে হবে।

আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।

ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, করোনা আক্রান্ত মা ও নবজাতক একই কক্ষে থাকতে পারবেন। তবে নবজাতককে প্রতিবার স্পর্শ করার পূর্বে এবং পরে মা সাবান পানি দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিবেন অথবা সুবিধা ধাকলে স্যানিটাইজার ব্যবহার করবেন। জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যে অবশ্যই মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো শুরু করতে হবে। কারণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, মায়ের দুধের মাধ্যমে করোনা ভাইরাস সংক্রমিত হয় না। বুকের দুধ খাওয়ানো বা ত্বকের স্পর্শে রাখার সময় মা মাস্ক পরিধান করবেন।

অনলাইন বুলেটিনে বলা হয়, ৬৬টি পরীক্ষাগারে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭,৮৩৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছে ৭,৪৮৩৪টি। এরমধ্যে নতুন করে আরো ৪,০১৪ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১,৪১,৮০১ জন। আর একই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৫ জন। এনিয়ে মোট মারা গেলেন ১,৭৮৩ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২,০৫৩ জন। এনিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৫৭,৭৮০ জন।

গতকাল রবিবার পর্যন্ত করোনাভাইরাস শনাক্তে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল ১৮,০৯৯টি। এরমধ্যে নতুন শনাক্ত হয়েছিলেন ৩,৮০৯ জন। মোট শনাক্ত হয়েছিলেন ১,৩৭,০৮৭ জন। আর গতকাল আরও ৪৩ জন মারা যান। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ১,৭৩৮ জন। এছাড়া গতকাল সুস্থ হয়েছিলেন ১,৪০৯ জন। এনিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৫৫,৭২৭ জন।

আপনার সুস্থতা আপনার হাতে উল্লেখ করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলতে সকলের প্রতি আহবান জানানো হয়।

দেশে নভেল করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। আর ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।