সামাজিক শক্তির সহযোগে কোভিড প্রতিরোধক কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে

সিটি মেয়রের সাথে বিশ্ব ফোরাম নেতৃবৃন্দের সাক্ষাত
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেন, করোনাকালে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে গিয়ে প্রতিদিন যে অভিজ্ঞতাগুলো আমরা অর্জন করছি তার আলোকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর স্বাস্থ্যখাতকে সচল রেখে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং সেবাদানকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সাধ্য ও সামর্থ্য অনুযায়ী সেবা দেয়া হচ্ছে। সামর্থ্য-সীমার বাইরেও সামাজিক শক্তি ও বেসরকারি ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানকে সম্পৃক্ত করে করোনা টেস্টিং বুথ সহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট আইসোলেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছি। এর সুফল উপকারভোগীরা পাচ্ছেন। তিনি আজ সকালে টাইগারপাসস্থ চসিক অস্থায়ী নগরভবনে তাঁর দপ্তরে ইউ.এস সেন্টারস্ ফর ডিজিস কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন এর-বাংলাদেশস্থ প্রধান আবাসিক কর্মকর্তা ড.মিচেল এস ফ্রেডম্যানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সাথে সাক্ষাতকালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ¯^াস্থ্য বিভাগের কোভিড-১৯ প্রতিরোধক ও নিয়ন্ত্রন কার্যক্রমের বিভিন্ন পদক্ষেপ,উদ্যোগ, নীতিমালাসহ জনকল্যাণমুখী সেবা প্রদানের কার্যক্রম তুলে ধরে বলেন, আমাদের এসকল কার্যক্রম ও কর্মপরিকল্পনা পরিস্থিতি ও বাস্তবতা বিবেচনায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পরিচালিত হচ্ছে। এক্ষেত্রে আর্থিক সংকটসহ নানান প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্তে¡ও আমাদের কর্মপরিকল্পনাগুলোকে সচল ও সক্রিয় রাখা এবং সম্ভাব্য প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুতি চলমান রাখা হয়েছে।
প্রতিনিধি দলের নেতা ড.মিচেল এস ফ্রেডম্যান বলেন, সীমিত সামর্থ্য ও সীমাবদ্ধতার মধ্যেও করোনাকালে পরিস্থিতি মোকাবেলায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সামাজিক ও মানবিক উদ্যোগ একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। আশা করি এর সুফল জীবন ও জীবিকা রক্ষায় উপকারভোগীরা পাচ্ছেন। তাই এই প্রাপ্তি যথেষ্ট না হলেও উল্লেখ করার মত এবং অন্যান্য স্থানীয় প্রষ্ঠিানের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কর্মপরিকল্পনায় সন্তোষ প্রকাশ করে আরো বলেন, বিপর্যয়কালীন সময়ে আমাদের পরামর্শগুলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আমলে আনা হয়। পরিস্থিতি মোকাবেলায় যেখানে ইতিবাচক কর্মপরিকল্পনাগুলো চলছে সেগুলো সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করার পর তা অনুসরণ করার জন্য বিশ্ব ফোরামে তুলে ধরা হয়। তাই আমাদের কাছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের করোনাকালীন কর্মপরিকল্পনা একটি কার্যকর ও গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা। ড.মিচেল এস ফ্রেডম্যান মেয়রের কাছে দূর্যোগ মোকাবেলায় তাঁর বৈশ্বিক অভিজ্ঞতাগুলো তুলে ধরে বলেন, দুর্যোগকালীন সময়ে পরিস্থিতি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় থাকার জন্য আন্তর্জাতিক ফোরামগুলোর নির্দেশনা সহায়ক প্রেরণা হয়ে থাকতে পারে। তাই আমাদের অভিজ্ঞতাগুলো বিনিময় করে চসিকের করোনাকালের কর্মপরিকল্পনা ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে যেতে পারে বলেই আস্থা ও বিশ্বাস জন্মেছে। এপ্রসঙ্গে তিনি আরো পরামর্শ দেন যে, দূর্যোগকালীন পরিস্থিতিতে চসিকের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সামাজিক শক্তি এবং শ্রেণী- পেশাজীবিদের নেতৃত্বকে যতবেশি সম্পৃক্ত করা যাবে ততবেশি ইতিবাচক সুফল অর্জিত হবে। এই দিকটি গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় আনা হলে চসিকের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কোন বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা থাকবেনা বলে তিনি মন্তব্য করেন এবং কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দেন। এসময় প্রকল্প গবেষনা কর্মকর্তা লে.কর্ণেল দস্তগীর হারুন,গবেষক ও সাংবাদিক মিস প্রিয়াতা, চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল মহিউদ্দিন আহমেদ, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিম, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী উপস্থিত ছিলেন।