‘মঙ্গলের শহর’ পৃথিবীতেই গড়তে যাচ্ছে দুবাই

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ আরব আমিরাতের দুবাই শহর বরাবরই উচ্চাভিলাষী। শহরটির দমকলকর্মীরা জেটপ্যাক ব্যবহার করেন। শহরের ভবনগুলো মেঘ ছুঁয়ে গেছে। বিস্তৃত লাল প্রান্তরের মাঝখানে একটি মসৃণ নগর।

দুবাই বিশ্বের আরও আশ্চর্যজনক স্থাপত্য প্রকল্পের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে ২০১৭ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত আগামী ১০০ বছরের মধ্যে মঙ্গলগ্রহে কলোনি গড়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষা ঘোষণা করেছিল।

এবার বিশ্ববাসীকে মঙ্গলগ্রহে বসবাসের অভিজ্ঞতা দিতে মঙ্গলের শহরের নকশা করেছেন দেশটির স্থপতিরা। দুবাইয়ের বাইরে এটি তৈরির পরিকল্পনা করছেন তারা। খবর সিএনএন ও গালফ নিউজের।

মঙ্গলগ্রহ নিয়ে মানুষের কৌতুহলের শেষ নেই। এ গ্রহের কল্পিত শহরগুলোয় মানুষের বসবাসের অভিজ্ঞতা কেমন হতো, তা হাতে-কলমে দেখাতে চাইছে দুবাই। আর এর সরাসরি তত্বাবধানে থাকবেন আমিরাতের রাষ্ট্রপ্রধান নিজেই।

এক লাখ ৭৬ হাজার বর্গমিটার মরুভূমিতে ‘মার্স সায়েন্স সিটি’ প্রায় ৩০টি ফুটবল মাঠের সমান। এটি তৈরিতে ব্যয় ধরা হয়েছে সাড়ে ১৩ কোটি ডলার।

দুবাইয়ের মোহাম্মদ বিন রশিদ মহাকাশ কেন্দ্র (এমবিআরএসসি) ‘বিজারকে ইঙ্গেল গ্রুপের’ স্থপতিদের মঙ্গলের শহরের নকশা করার অনুমোদন দেয়। তারা থ্রিডি প্রিন্টার ব্যবহার করে শহরের স্থাপনাগুলো তৈরি করেন।

শহরটি শূন্য থেকে অনেকটা সারি সারি গম্ভুজের মতো মনে হবে। ভূগর্ভস্থ ২০ ফুট দৈর্ঘ্যরে কক্ষগুলো ক্ষতিকারক বিকিরণ ও উল্কাপিণ্ড থেকে সুরক্ষিত।

বিজারকে ইঙ্গেল গ্রুপের অংশীদার জ্যাকব ল্যাঙ্গে বলেন, ‘ভবিষ্যতে মঙ্গলগ্রহে ভুগর্ভস্থ গুহায় স্কাইলাইট থাকবে, যা অ্যাকোরিয়ামের মতো হবে। চারদিকে মাছ সাঁতার কাটবে। পানির জানালাগুলো ভূগর্ভস্থ কক্ষগুলোয় আলো প্রবেশ করার সময় বাসিন্দাদের বিকিরণ থেকে রক্ষা করবে।’