নমুনা না দিয়েও করোনা পজেটিভ!

নমুনাই দেওয়া হয়নি। এরপরও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এসএমএসে করোনা পজিটিভ রিপোর্ট পেয়েছেন সাংবাদিক এম এ হোসাইন। তিনি চট্টগ্রামের আঞ্চলিক দৈনিক পূর্বদেশের স্টাফ রিপোর্টার।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্ধারিত ০১৭২৯০২৪৬১২ নাম্বার থেকে সাংবাদিক এম এ হোসাইন নিজের মোবাইল নাম্বারে করোনা পজিটিভের অফিসিয়াল এসএমএসটি পান সোমবার। এতে বিস্ময় প্রকাশ করে সাংবাদিক এম এ হোসাইন বলেন, কী আশ্চর্য্য, সব গাঁজাখুরি কাজ-কারবার দেখছি।

এম এ হোসাইন জানান, এসএমএসে বলা হয় গত ১৭ জুন করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টারে নমুনা দেন চট্টগ্রামের বাসিন্দা এম এ হোসাইন। একইদিন নমুনা পরীক্ষা করে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে।

অথচ ১৭ জুন ঢাকা নয়, চট্টগ্রামেও নমুনা দেওয়া হয়নি। এরপরও তাকে করোনা পজিটিভ উল্লেখ করে অফিসিয়াল এসএমএস পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে গত ৬ জুন নমুনা দিয়ে ১৪ দিন পর ১৯ জুন পজিটিভ ফলাফল পান বলে জানান চট্টগ্রামের এ সাংবাদিক।

এম এ হোসাইন বলেন, এসএমএস করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানালো ১৭ জুন নাকি আমি নমুনা দিয়েছি।
তাও আবার ঢাকায়। তারা সেটা ১৭ জুনই পরীক্ষা করেছে। সে পরীক্ষার ফলাফল পজেটিভ! অথচ ১৭ জুন আমি কোন নমুনাই দিইনি।

তিনি বলেন, এর আগে নমুনা দেয়ার ১৪ দিন পরে রিপোর্ট পেয়েছিলাম। এবার পরীক্ষা ছাড়াই করোনা পজেটিভ রিপোর্ট পেলাম। সামনে কপালে আরও কি জুটে জানি না। সব গাঁজাখুরি কাজ-কারবার দেখছি!