মূমূর্ষ আল্লামা নূরুল ইসলাম হাশেমীকে ভর্তি নেয়নি দুইটি হাসপাতাল

দেশবরেন্য আলেমে দ্বীন, ইমামে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত বাংলাদেশের আল্লামা শাহসূফী কাযী মুহাম্মদ নূরুল ইসলাম হাশেমী (মু জি আ) কে মূমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসা না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রামের দুইটি বেসরকারী হাসপাতালের বিরুদ্ধে।

শনিবার চট্টগ্রামের মেট্টোপলিটন হাসপাতাল এবং ডেলটা হেলথ কেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দীর্ঘ ৪ ঘন্টা অপেক্ষা করিয়েও ভর্তি নেয়নি ৯১ বছর বয়সী দেশের শীর্ষ এই ইসলামী চিন্তাবিদকে। ‘করোনামুক্ত সনদ’ ছাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হবেনা বলে এসময় রোগীর পরিবারকে জানানো হয়।

দীর্ঘদিন ডায়বেটিকস ও আ্যজমা রোগে আক্রান্ত আল্লামা নূরুল ইসলাম হাশেমীর রক্তের গ্লূকোজের মাত্রা কমে গেলে শনিবার সকাল ১১টায় নগরীর ওআর নিজাম রোডে অবস্থিত মেট্টোপলিটন হাসপাতালে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার হার্টের কয়েকটি পরীক্ষা করলেও ভর্তি নিতে আপত্তি জানান। পরে আল্লামা হাশেমীর পরিবারকে হাসপাতাল থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, করোনাভাইরাস নেগেটিভ কাগজপত্র (করোনামুক্ত সনদ) ছাড়া তারা কোন রোগী ভর্তি নিবেনা।

আল্লামা নুরুল ইসলাম হাশেমীর পরিবার সূ্ত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ দুইঘন্টা মেট্টোপলিটন হাসপাতালে আকুতি মিনতি করেও তাদের মন গলানো সম্ভব হয়নি। বেলা ১টার পরে আল্লামা নুরুল ইসলাম হাশেমীকে নগরীর পাঁচলাইশ মোড়ে ডেলটা হেলথ কেয়ার হসপিটালে নেওয়া হয়। দীর্ঘসময় হাসপাতালের বাইরে এ্যাম্বুলেন্সে অপেক্ষা করার পর ডিউটি ডাক্তাররা আল্লামা হাশেমীকে আবারো বুকের কিছু এক্সরে করিয়ে যথারীতি ভর্তি করানো সম্ভব নয় বলে জানায়। এসময় আল্লামা হাশেমীর এ্যাম্বুলেন্সে থাকা অক্সিজেনের গ্যাস ফুরিয়ে গেলে তিনি শ্বাসকষ্টে ভুগতে থাকেন। আল্লামা হাশেমীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. মনির আযাদ হাসপাতালে দায়িত্বরতদের কাছে অক্সিজেন সহায়তা চেয়েও ব্যর্থ হয়েছেন বলে জানা গেছে।

আল্লামা নুরুল ইসলাম হাসেমির ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. মনির আযাদ দেশরিভিউকে বলেন, সকাল ১১টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত মেট্টোপলিটন হাসপাতাল এবং ডেলটা হেলথ কেয়ার হসপিটালে ঘুরে হুজুরের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারেনি। তাদের একটাই কথা, রোগীর শরীরে করোনা ভাইরাস নেই এই মর্মে ‘করোনামুক্ত সনদ’ প্রদর্শন করতে হবে। এসময় অক্সিজেনের গ্যাস ফুরিয়ে যাওয়াতে হুজুরের শ্বাসকষ্ট শুরু হলেও হাসপাতাল থেকে অক্সিজেন সাপোর্ট পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

ডা. মনির আযাদ বলেন, বেলা তিনটার পরে হুজুরকে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি মা ও শিশু হাসপাতালের আইসিইউ’তে চিকিৎসাধীন আছে। >>

আমিন মুন্ন এর ফেসবুক থেকে