বৈশাখী পোশাক

বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। বৈশাখী উৎসবে সব বয়সী মানুষ মেতে উঠে উৎসবে। তাই পহেলা বৈশাখে নতুন পোশাক না হলে কি চলে।তবে এ সময়ে প্রচণ্ড গরম পরায় আপনার পোশাক হওয়া চাই অবশ্যই আরামদায়ক।কিন্তু অনেক বুঝতে পারেন না বৈশাখে কী ধরনের পোশাক পরবেন।

বৈশাখের পোশাক সুতি হলে সবচেয়ে ভালো। পোশাকের রঙের ক্ষেত্রে লাল-সাদা মন্দ নয়। সুতি কাপড়ের তৈরি পোশাক শরীরকে ঠাণ্ডা রাখে।এছাড়া হালকা রঙের সুতি পোশাক রোদ ও তাপ থেকে বাঁচিয়ে শরীরকে স্বস্তি দেয়। গরমে আমাদের অনেকেরই চুলকানি, ঘামাচি, অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দেয় বা শরীরে ফুসকুঁড়ি ওঠে।এ সময়টা সুতি কাপড়ই পরা উচিত।

আসুন জেনে নেই পহেলা বৈশাখে কী ধরনের পোশাক পরবেন।

সাদা কাপড়

সাদা কাপড় হলেও গরমের কাপড় হিসেবে সুতি কাপড়ে প্রাধান্য দিন বেশি। কারণ সুতি কাপড়েই গরমে সবচেয়ে আরাম এবং স্বস্তি পাওয়া যায়।

লম্বায় খুব বড়

লম্বায় খুব বড় বা অনেক বেশি কাপড় দিয়ে তৈরি জামাকাপড় গরমে ত্যাগ করুন। এতে আপনার চলাফেরায় সমস্যা হবে।লাহলা রঙের পাতলা পোশাক পরিধান করুন।

ভারি জামা

সাদা হলেও খুব ভারি জামা পরা ঠিক না। কারণ আমাদের উদ্দেশ্য গরমে স্বস্তিতে থাকা। ভারি জামা সাদা হলেও পরে আরাম পাওয়া যাবে না।

রঙ নির্বাচন

পোশাকের রঙ নির্বাচনের ক্ষেত্রেও আপনাকে গুরুত্ব দিতে হবে।অনেকের ধারণা বৈশাখের রঙ শুধু লাল-সাদা।তবে বলে রাখছি বৈশাখের রং শুধু লাল সাদা নয়। হালকা হলুদ, হালকা গোলাপি, বিভিন্ন শেডের প্যাস্টেল রঙের পোশাকও পরতে পারেন।

মুখের সাজ

বৈশাখ আমাদের ঐতিহ্য তাই এইসময় সাজে বাঙালিয়ানা দেখতেই বেশি ভালো লাগে। চোখে মোটা করে বা টেনে কাজল দেওয়া, লিপস্টিক, টিপ এতেই দেশীয়ভাব ফুটে ওঠে। আর ত্বক সুন্দর থাকলে হালকা সাজেও খুব আকর্ষণীয় লাগে।

লাল সাদা পোশাক পরা বৈশাখের ঐতিহ্য। তবে কেউ চাইলে সম্পূর্ণ লাল, সাদা বা ঘিয়ে শাড়ি- সঙ্গে বিপরীত রংয়ের ব্লাউজ পরতে পারেন, দেখতে ভালো লাগবে। এছাড়াও যে কেউ নিজের পছন্দকে প্রাধান্য দিয়ে পোশাকের রং বাছাই করতে পারেন।