সীমিত ব্যাংকিং তুলে দেয়ার আহবান

আমদানি-রূপ্তানী খাতে ব্যবসা বানিজ্যের প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে ব্যবসা বানিজ্যিক এলাকার ব্যাংকগুলির সময়সীমা ও পরিধি বাড়ানোর নির্দেশনা বাংলাদেশ ব্যাংক দিলেও সাধারন ভোক্তাদের আর্থিক লেনদেনে জড়িত ব্যাংকগুলির সীমিত ব্যাংকিং, পালাক্রমে দায়িত্বপালন (shifting duties) ও রেশনিং ব্যাংকিং এর কারনে সাধারন জনগনের ব্যাংকিং লেনদেন মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। সাধারন ভোক্তাদের আওতায় সেবা প্রদানকারী ব্যাংকগুলির এলাকার ব্যাবসা-বানিজ্যের গ্রাহকরাও ব্যাংকিং লেনদেনে নানা প্রতিবন্ধকতার শিকার হচ্ছেন। যার নেতিবাচক প্রভাব স্থানীয় ব্যবসা বানিজ্যের উপর পড়ছে। আর কিন্তু গ্রাহকরা সীমিত ব্যাংকিং এর কারনে প্রয়োজন মেঠাতে ব্যাংকের দ্বারস্ত হচ্ছেন, অনেকেই হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। ফলে অনেক জায়গায় ব্যাংকিং খাতের গ্রাহকদের সামাজিক দুরত্ব মেনে চলা কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সীমিত ব্যাংকিং, পালাক্রমে দায়িত্বপালন ও রেশনিং করে ব্যাংক খোলা রাখার ব্যবস্থার পরিবর্তে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করা হলে সামাজিক দুরত্ব প্রতিপালন সম্ভব হবে বলে মনে করছেন দেশের ক্রেতা-ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষনকারী জাতীয় প্রতিষ্ঠান কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগ ও মহানগর কমিটি।

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাধারন গ্রাহকদের আর্থিক লেনদেনে প্রতিবন্ধকতা ও সামাজিক দুরত্ব প্রতিপালনে প্রতিবন্ধকতা দুরীকরণে করনীয় নিয়ে মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, মহানগর সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারন সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ন সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম ও দক্ষিন জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান প্রমুখ উপরোক্ত প্রস্তাব করেন।

বিবৃতিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ বলেন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির করোনা সংকটে যে ভাবে জরুরী সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তা অবশ্যই সাধুবাদ যোগ্য। মানুষের জীবন বাঁচাতে, জীবন-জীবিকা সচল রাখতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠানগুলির ভুমিকা কোন অংশে কম নয়। সেকারনে বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্িরত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের জন্য বিশেষ সুবিধা ঘোষনা করেছেন। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গৃহিত করোনা নিরাপত্তা কৌশলে প্রতিষ্টানের কর্মকর্তারা সুরক্ষিত থাকছেন। আর গ্রাহকদের জন্য প্রয়োজনীয় করোনা সুরক্ষা ব্যবস্থাদি প্রয়োজনের তুলনায় নগন্য থাকায় কিছু কিছু জায়গায় সামাজিক দুরত্ব প্রতিপালন সম্ভব হচ্ছে না। আর সেকারনে গ্রাহকরা ঝুঁকিতে থাকছেন। বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে গ্রাহক সুরক্ষা খাতে আরও নজর দেবার দাবি জানান।

বিবৃতিতে আরও বলা হয় সীমিত কার্যক্রমের কারনে বিভিন্ন পেনশন স্কীম, সঞ্চয় পত্রের গ্রাহকরা তাদের লভ্যাংশ পেতে প্রতিবন্ধকতার কারনে জীবন-জীবিকায় হিমসীম খেতে হচ্ছে। সীমিত ব্যাংকিং চলমান থাকলে সরকারের বিভিন্ন শ্রেণীপেশার লোকজনের জন্য প্রণোদানা বিতরণ, সরকারী-বেসরকারী খাতের করোনা ঝুঁকি মোকাবেলায় ত্রাণ কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে বলে মত প্রকাশ করা হয়।