আদার দামে লাগাম টানতে খাতুনগঞ্জে অভিযান

আদার দামে লাগাম টানতে খাতুনগঞ্জে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন। অভিযানে আমদানিকারক, আড়তদার এবং ব্রোকারদের কারসাজির মাধ্যমে কয়েকগুণ বেশি দামে আদা বিক্রির প্রমাণ পাওয়া গেছে।

রোববার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে দেশের বৃহত্তম ভোগ্যপণ্যের বাজার খাতুনগঞ্জে অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এতে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আলী হাসান।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত চট্টগ্রামের ৩২ জন আমদানিকারক ৩ হাজার ১৪৩ দশমিক ৯৫ মেট্রিক টন আদা আমদানি করেছেন। কাস্টমস ক্লিয়ারেন্সসহ যার আমদানি খরচ পড়েছে ২৫ কোটি ২৬ লাখ ১৭ হাজার ৫৫ টাকা।

এই হিসাবে প্রতি কেজি আদার আমদানি মূল্য ৮০ টাকার কাছাকাছি। কমিশন, হাত বদল থেকে শুরু করে নানা প্রক্রিয়া শেষে প্রতি কাজি আদার দাম পড়ে ৯০ থেকে ১২০ টাকার মতো। যা এখন বাজারে ২৫০ টাকার বেশিতে বিক্রি করা হচ্ছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, খাতুনগঞ্জের আদা, রসুন, পেঁয়াজ, খেজুর, ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানে অভিযান শুরু করলে হামিদুল্লাহ বাজার, নবী সুপার মার্কেট, আমির মার্কেট, ইয়াকুব বিল্ডিং ও চাক্তাই এলাকার বেশ কিছু আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান তাদের অফিস বন্ধ করে গা ঢাকা দেয়।

তিনি বলেন, হামিদুল্লাহ মার্কেটে আদার আড়তদার কামাল ব্রাদার্সে অভিযান পরিচালনার সময় আমদানিকারক, আড়তদার এবং ব্রোকারদের কারসাজির মাধ্যমে কয়েকগুণ বেশি দামে আদা বিক্রির প্রমাণ পাই আমরা। প্রতি কেজি আদা সর্বোচ্চ ১২০ টাকায় কিনে ২৫০ টাকায় বিক্রি করছিলেন তারা।

‘রমজানে বাড়তি চাহিদার সুযোগ নিয়ে দ্বিগুন, তিনগুন বেশি দামে আদা বিক্রি করছিলো কামাল ব্রাদার্স। পেপারলেস মার্কেট তৈরি করে দিনে দিনে আদার দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছিলো তারা। এ কারণে কামাল ব্রাদার্সের মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’ যোগ করেন তিনি।

জেলা প্রশাসনের এই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, আদাসহ নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেনের নির্দেশে ৮টি টিম গঠন করা হয়েছে। তারা রমাজানে প্রতিদিন নগরের বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরো বাজারে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে অভিযান পরিচালনা করবেন।