অভুক্ত কুকুরের মুখে খাবার তুলে দিলেন মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ. জ. ম. নাছির উদ্দীন আজ বিকেলে নগরীর বিভিন্ন সড়কে ও অলি-গলিতে অভুক্ত পথপ্রাণী চতুষ্পদ কুকুরের মুখে রান্না করা খাবার সামগ্রী তুলে দিয়েছেন। এই সময় তিনি উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মী ও সমাজসেবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রাণী জগতে কুকুর প্রভূভক্ত ও মানুষের উপকারী জীব। এদের একটি অংশ গৃহপালিত। তাদের অনুসন্ধিৎসু ঘ্রাণশক্তি প্রখর ও সুতীব্র। তাই পুলিশ,সেনাবাহিনী ও রহস্য অনুসন্ধানী গোয়েন্দা সংস্থার প্রশিক্ষিত কুকুর স্কোয়ার্ড রয়েছে। গল্প, উপন্যাস ও ধর্মীয় আখ্যানে কুকুর নিয়ে প্রভুভক্তি ও মনুষ্য প্রীতির অনেক কীর্তিগাঁথা আছে। তবে তাদের একটি বড় আংশ পথের বাউন্ডুলে ও ভবঘুরে। তাদের উদর পূর্তির জায়গা ডাষ্টবিন ও নালা-নর্দ্দমায় ফেলে দেয়া গৃহস্থলী ও হোটেল-রেঁস্তোরার খাবারের উচ্ছিষ্ট অংশ। তবে করোনা ভাইরাস কবলিত নগরীতে লক-ডাউন চলাকালীন সময়ে হোটেল-রেঁস্তোরা বন্ধ থাকায় এবং গৃহবন্ধী মানুষের জীবনযাপনে সীমিত রান্নাবান্নার কারণে ডাষ্টবিন ও নালা-নর্দমায় খাবারের উচ্ছিষ্ট নেই বললেই চলে। তাই পথের ভবঘুরে -বাউন্ডলে কুকুরগুলো অভূক্ত। মধ্যরাতে ক্ষুধা কাতর কুকুরের আকুল বিলাপে আমার মন কাঁদে এবং অনেকেরই। এই পৃথিবী শুধুমাত্র মানুষের নয়, খোদাসৃষ্ট সকল প্রাণীর। মানুষের একতরফা কর্তৃত্বে মানুষই শ্রেষ্ঠ! তাই অন্যপ্রাণীকূল আজ বিপন্ন, নিপীড়িত এমনকি বিলুপ্তপ্রায়। অথচ প্রাণীর সম্মিলিত সহযোগে প্রকৃতির ভারসাম্য প্রতিষ্ঠিত। তাই শুধু মানুষই নয়, সকল প্রাণীও প্রকৃতির সঙ্গী। এই শিক্ষা করোনা দূর্যোগকালীন দু:সময়ে গ্রহণ করা আমাদের সকলের উচিত। তাই অভুক্ত প্রাণীকুল কুকুরের প্রতি গভীর মমতায় একটু খাবার তুলে দিয়ে মানব জীবনকে সার্থক করে তুলুন। এটাই নগরবাসীর প্রতি আকুল আবেদন। আমরা জানি, পৃথিবীতে সকল মানুষ ও প্রাণীর স্রষ্টা করুনাময় মহান আল্লাহ তা’য়ালা। কিনি সকল প্রাণীর প্রতি সমান দৃষ্টি ও করুনা বর্ষণ করেন। কামনা করি, সুখে থাক জগতের সকল প্রাণীকূল।