সাংবাদিক মুহম্মদ জাহাঙ্গীর আর নেই

লেখক, সাংবাদিক ও চট্টগ্রামের কৃতি সন্তান মুহম্মদ জাহাঙ্গীর আর নেই। মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে ১টায় তিনি ঢাকার গেণ্ডারিয়ার আসগর আলী হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি দীর্ঘদিন মরণব্যাধি ক্যান্সারে ভোগছিলেন।

ইউনুস সেন্টারের এজিএম তানভিরুল ইসলাম জাহাঙ্গীরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান,জাহাঙ্গীর গত দুইদিন লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। আজ রাতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

জনপ্রিয় টিভি ব্যক্তিত্ব মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আপন ছোট ভাই।

মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর ২৫ বইয়ের রচয়িতা। এগুলোর বেশিরভাগই সাংবাদিকতা নির্ভর। তিনি সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট কমিনিউকেশনের নির্বাহী পরিচালক।

মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর ১৯৫১ সালে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি মিডিয়া বিষয়ক একজন লেখক হিসেবে বাংলাদেশে সুপরিচিত। এ ছাড়াও রাজনীতি ও বিভিন্ন সমসাময়িক বিষয়ে সংবাদপত্রে নিয়মিত কলাম লিখতেন। নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গির কারনে তিনি সকলের কাছে একজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি হয়ে উঠেন। ঢাকার জাতীয় দৈনিক প্রথম আলাে’ ও চট্টগ্রামের দৈনিক ‘আজাদীতে তিনি নিয়মিত লিখতেন।

তিনি চট্টগ্রাম কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় তিনি সক্রিয় ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর ১৯৭০ সালে দৈনিক পাকিস্তানে সাংবাদিকতা পেশায় যোগ দেন। ১৯৮০ সালে তিনি সক্রিয় সাংবাদিকতা ছেড়ে প্রেস ইনষ্টিটিউট অব বাংলাদেশ-এ সাংবাদিক প্রশিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হন।

১৯৯৫ সালে তিনি সেন্টার ফর ডেভলপমেন্ট কম্যুনিকেশন নামে একটি বেসরকারি মিডিয়া সংস্থা গঠন করে এর নির্বাহী পরিচালকর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬৮ সাল থেকে বেতার ও ১৯৭৬ সাল থেকে টিভি মিডিয়ার সঙ্গে জড়িত। চলতি বিষয়ধর্মী টক শাের সফল মডারেটর হিসেবে তিনি বিশেষ পরিচিতি অর্জন করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনার্সসহ এম এ ও সাংবাদিকতায় এম এ ডিগ্রী লাভ করেছেন। তিনি ঢাকার ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস (ইউল্যাব) এর মিডিয়া স্টাডিজ এ্যান্ড জানালিজম বিভাগের খন্ডকালীন অধ্যাপক। সাংবাদিকতা, গণমাধ্যম, রাজনীতি ও অন্যান্য বিষয়ে তার লেখা ও সম্পাদিত বইয়ের সংখ্যা সাতাশটি। গতকাল থেকে তিনি লাইফ সাপোর্টে চলে গেছেন বলে জানা যায়। তার পরিবার দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।