যানজট এড়িয়ে বিকল্প পথে ইপিজেড, পতেঙ্গা

মির্জা ইমতিয়াজ শাওন: যানজট এড়িয়ে বিকল্প পথে সল্টগোলা, পতেঙ্গা যেতে অনেকে বেছে নিচ্ছেন বোট সার্ভিস। সল্টগোলা ঘাট থেকে প্রতিদিন নগরীর সদর ঘাট, অভয়মিত্র ঘাট, ফিরিঙ্গিবাজার, ব্রিজ ঘাটে যাতায়ত করতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন অনেকে।

কর্ণফুলীর নদীর তীরে অবস্থিত চট্টগ্রাম শহরের এক সময়ের যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম ছিল নৌপথ। পণ্যপরিবহণে বেশি ব্যবহৃত হলেও সড়ক ব্যবস্থা উন্নতির সাথে সাথে কমে আসে যাত্রী পরিবহণ। তবে শহর সম্প্রসারণের সঙ্গে বন্দরনগরীতে বেড়েছে মানুষের চাপ। সেই সঙ্গে নিত্য যানজট তো লেগেই আছে। চট্টগ্রাম শহর থেকে সড়ক পথে পতেঙ্গায় শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর যেতে যানজটের কারণে যাত্রীদের বেশ বেগ পেতে হয়। তাই নগরবাসীর অনেকে বিশেষত স্থানীয় অধিবাসী তথা চাকুরীজীবীরা নৌ-পথকে বেছে নিয়েছেন। সল্টগোলা ঘাট থেকে প্রতিদিন নগরীর সদর ঘাট, অভয়মিত্র ঘাট, ফিরিঙ্গিবাজার, ব্রিজ ঘাটে যাতায়ত করতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন অনেকে। সদরঘাট থেকে সল্ট গোলা পর্যন্ত যাতায়াতে সর্বসাকুল্যে ত্রিশ মিনিটের মধ্যে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করে থাকেন বোট মালিকরা।

প্রতিদিন এ পথে যাতায়াত করা অনামিকা রায় বলেন খুব সহজে আমি ফিনিঙ্গি বাজার থেকে আসতে এবং যেতে পারি। এতে অমার সময় সাশ্রয় হচ্ছে। এ পথ বা এ ব্যবস্থা সবার কাছে পরিচিত হলে যেমনি যানজট এড়ানো যাবে তেমনি নতুন নৌযোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে।

পতেঙ্গারর অধিবাসী লেখক রহমান মিজান জানান যানজটের দুর্ভোগ লাঘবে বহুভাবে চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু নগরীর বারিক বিল্ডিং থেকে ইপিজেড এবং সিমেন্ট ক্রসিং পর্যন্ত ঘন্টার পর ঘন্টা যানজট থাকে। এতে মানুষের ভোগান্তি চরমে আকার ধারণ করেছে। আর পতেঙ্গা থেকে দক্ষিণ হালিশহর পর্যন্ত থাকা কয়েক লাখ মানুষকে এই যানজট মোকাবেলা করেই প্রতিদিনের কাজ করতে হয়। অন্যদিকে এ যানজট মাথায় নিয়ে প্রতিদিন বিমানবন্দরের কয়েক হাজার যাত্রী এই পথে যাতায়াত করেন। নৌযোগাযোগ বৃদ্ধি পেলে এবং পর্যাপ্ত বোট ঘাটে থাকলে সাধারনের অনেক উপকার হবে।

বোট সার্ভিস প্রবর্তনকারী একজন উদ্যেক্তা সমাজ কর্মী সিরাজুল ইসলাম হৃদয় জানান, আমরা আমাদের এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর লক্ষ্যে ব্যাক্তি উদ্যেগে সমাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে ৪ টি বোট দিয়ে মানুষকে সেবা দেয়ার চেষ্টা করছি। প্রতিদিন বিশেষত ইপিজেড ছুটি হলে আমাদের বোট গুলো যাত্রীদের নিয়ে সদর ঘাট, অভয়মিত্র ঘাট, ফিরিঙ্গিবাজার, ব্রিজ ঘাটে যাতায়ত করছে। প্রতিটি বোট ২০-৩০ জন যাত্রীকে নিরাপদে গন্তব্যে পৌছে দিতে সক্ষম। এ ক্ষেত্রে আমরা যাত্রীদের কাছ থেকে ৩০-৫০ টাকা ভাড়া নিচ্ছি। এ বিষয়ে প্রচারণা বৃদ্ধি পেলে মানুষ যানজট থেকেমুক্তি পাবে এবং নতুন নতুন উদ্যেক্তারা এগিয়ে আসবেন। বোট আসা যাওয়ার তথ্য জানতে সাজ্জাদ (ফোন ০১৮৪০৬১৬৯২) নুর মোহাম্মদ (ফোন ০১৮৭৮৬৩২১৯৯) এর সাথে কথা বলতে পারেন অগ্রহীরা।

প্রতিবেদনটি তৈরি করতে সরেজমিন পরিদর্শনের সময় মঙ্গলবার (সড়কে তীব্র যনজটের কারনে) সল্টগোলা ঘাটে মানুষের বেশ চাপ লক্ষ করা গেছে। এ সময় অধা ঘন্টা বা তারো কম সময় পর পর বোট আসা যাওয়া করতে দেখা গেছে। বৈরি আবহাওয়াতেও মানুষের মাঝে স্বস্তির ছাপ লক্ষ্য করা গেছে।