বিতেলের উৎপাদন কমানোর ঘোষণা ওপেক প্লাসের

    শ্বের প্রধান জ্বালানি রপ্তানিকারক দেশগুলো তেলের উৎপাদন কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর গ্রুপ ওপেক প্লাস জানিয়েছে, তারা এখন প্রতিদিন ২০ লাখ ব্যারেল তেল কম উৎপাদন করবে। এই গ্রুপের সদস্য রাশিয়াও। মূলত তেলের দাম বৃদ্ধির লক্ষ্যেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওপেক প্লাস। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।

    খবরে জানানো হয়, গত জুন মাস থেকে বিশ্ব বাজারে কমেছে তেলের দাম। রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমনের পর এ দাম আকাশ ছুঁয়েছিল। তবে পরবর্তীতে তা অনেকটাই স্বাভাবিক অবস্থায় নেমে আসে। কিন্তু তেলের দাম আবারও বৃদ্ধির লক্ষ্যে এখন এর উৎপাদন কমিয়ে দিচ্ছে ওপেক প্লাস। ২৩ রাষ্ট্র মিলে তৈরি এ গ্রুপটি প্রায়ই তেলের দাম ও উৎপাদনের মাত্রা নির্ধারণে মিলিত হয়। বিশ্বের মোট তেলের ৩০ শতাংশই উৎপাদন করে এই দেশগুলো।

    এরমধ্যে সৌদি আরব সবথেকে বেশি তেল উৎপাদনকারী দেশ।
    ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হলে প্রতিদিন গড়ে ১৩ লাখ ব্যারেল তেল বিশ্ববাজারে যোগ করতে পারবে তেহরান। পাশাপাশি এ চুক্তি ইরানের হাতে এ মুহূর্তে জমে থাকা বিপুল পরিমাণ তেল দ্রুত বিশ্ববাজারে সরবরাহের পথও খুলে দেবে। এ মুহূর্তে ইরানের হাতে বিপুল পরিমাণে উত্তোলন করা তেল মজুত অবস্থায় রয়েছে। চুক্তি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেগুলো বিশ্ববাজারে ছাড়তে পারবে ইরান, যা তেলের বর্তমান সংকটকে প্রশমন করতে সহায়তা করবে।

    এদিকে তেলের দাম ধরে রাখতে ওপেক প্লাসের তেলের উৎপাদন কমানোর ইঙ্গিত এবং অপরদিকে বিশ্ববাজারে ইরানের তেলের ফিরে আসার সম্ভাবনাকে কেন্দ্র করে গত দুই মাস ধরেই উত্থান-পতনের মধ্যে বিশ্বের তেলের বাজার। দু-একদিনের ব্যবধানেই তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১০ ডলারের বেশি বেড়ে যাচ্ছে। আবার হঠাৎ করেই কমেও আসছে।

    গত আগস্ট মাসের মাঝামাঝি অপরিশোধিত তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ৯০ ডলারের নিচে চলে এলেও দুই সপ্তাহের ব্যবধানে গত ২৯ আগস্ট দাম ১০০ ডলারের ওপর উঠে যায়। এরপর আবার মাত্র দুদিনের ব্যবধানে তেলের দাম ১ সেপ্টেম্বর ৯০ ডলারের নিচে নেমে যায়।

    আগামি নভেম্বর মাস থেকে ওপেক প্লাসের তেল উৎপাদন হ্রাসের সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। এতে বিশ্বের দুই শতাংশ তেল সরবরাহ হ্রাস পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০২০ সালের পর এটিই ওপেক প্লাসের সবথেকে বেশি তেল উৎপাদন হ্রাসের ঘোষণা। ওই বছর মহামারির কারণে দৈনিক তেল উৎপাদন ৯০ লাখ ব্যারেল কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ওপেক প্লাস।