শুভ বুদ্ধির পরিচয় দিয়ে ১২ অক্টোবরের আগেই পদত্যাগ করুন

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, আগামী ১২ অক্টোবর বীর চট্টগ্রাম থেকে অবৈধ ভোট ডাকাত শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘন্টা বেজে উঠবে। নির্লজ্জ বেহায়া শেখ হাসিনা সরকার ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় এসে জনগণের লাশের উপর দাড়িয়ে আবার ক্ষমতার মসনদ পাকাপোক্ত করে রাখতে চাচ্ছে। আমরা বলতে চাই, আগের সেই দিন আর নাই। ভোট ডাকাতি করে, জনগণের রক্তের উপর ক্ষমতায় যাওয়ার সিড়ি বন্ধ করার জন্য জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। তাই আমি আহবান করবো অবৈধ এই সরকারকে, যদি শুভ বুদ্ধি থাকে তাহলে আগামী ১২ অক্টোবর চট্টগ্রামের গণসমাবেশের আগেই পদত্যাগ করুন।
আজ বুধবার (৫ অক্টোবর) নগরীর নাসিমন ভবনস্থ চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির উদ্যোগে আগামী ১২ অক্টোবর বিএনপির কেন্দ্রঘোষিত চট্টগ্রাম বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
মো. শাহজাহান বলেন, এই অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার আজকে দেশে বিদেশে অবাঞ্চিত। যেদিকে যাচ্ছে সেদিকে তাদের বিতাড়িত করা হচ্ছে। আজকে আর্ন্তজাতিকভাবে আওয়ামী লীগ একটি অবৈধ জবরদখলদার সরকার হিসাবে পরিচিত পেয়েছে। পাশাপাশি তারা যে প্রশাসনযন্ত্রকে ব্যবহার করে বিএনপিসহ বিরোধীমত দমন করছে তা ব্শ্বিবাসীর কাছে স্পষ্ট হয়েছে। এই আওয়ামী লীগকে এখন কেউ বিশ্বাস করে না। অনেক আগেই এই দেশের জনগণ তাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। জনগণ জেগে উঠেছে, শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে। আর সুযোগ দিবে না এই অবৈধ সরকারকে। জনগণের ভোটের অধিকার, গণতন্ত্রের অধিকার ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকবে।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মো. নাছির উদ্দীন বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার মেগা উন্নয়নের নামে মেগা দূর্নীতি করেছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়েছে। বিভিন্ন প্রজেক্ট নেওয়ার মূল উদ্দেশ্য ছিল দুর্নীতি। যার কারণে জনগণের দুর্ভোগ লাঘব হয়নি। গতকাল সারাদেশে জনগণকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। এই তো মাত্র শুরু হয়েছে, এই অবৈধ সরকারের ক্ষমতা যত দীর্ঘ হবে জনগণকে ততবেশি দূর্ভোগে পড়তে হবে। কারণ এই সরকার জনগণের কথা চিন্তা করছে না, তারা ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় এসেছে, জনগণের প্রয়োজন নেই তাদের। সরকার যে ধরনের প্রকল্প হাতে নিয়েছে, তার জন্য জনগণকে এ ধরনের আরও অনেক ভোগান্তি পোহাতে হবে। আজকে এই অবৈধ সরকারের বালক মন্ত্রী এমপিরা অনেক কথা বলছে, তাদের বলবো সংযত হয়ে কথা বলুন। অন্যাথায় জনগণ তার সমুচিত জবাব দিবে।
সভাপতির বক্তব্যে উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, চট্টগ্রামের মাটি থেকে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের ডাক দেওয়া হবে। আগামী ১২ অক্টোবর যে সমাবেশ হবে সে সমাবেশ লোকে লোকারন্য হবে। আমাদের সবাইকে সে সমাবেশে সুশৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। সমাবেশকে সফল করার জন্য চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আওতাধীন সকল এলাকায় প্রস্তুতি নিতে হবে। ইনশাআল্লাহ ১২ অক্টোবর রাজপথে জনগণের স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণ প্রমাণ করবে  এই সরকারের দিন শেষ হয়ে গেছে। পালানোর পথ নেই।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, এই চট্টগ্রাম আন্দোলন সংগ্রামের তীর্থভূমি। এই দেশে যে কোনো সংকটে চট্টগ্রাম সবার আগে এগিয়ে এসেছে। এই চট্টগ্রাম থেকে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভোট ডাকাত অবৈধ আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনের চূড়ান্ত ফয়সালা চট্টগ্রামের রাজপথ থেকে শুরু করেছেন। আগামী ১২ অক্টোবর চট্টগ্রামে লাখো লাখো মানুষের ঢল নামবে, কোনো অপশক্তি জনগণের এই সমাবেশ ঠেকাতে পারবে না।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক গোলাম আকবর খোন্দকারের সভাপতিত্বে যুগ্ম আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেনের পরিচালনায় বিশেষ অথিথি ছিলেন বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন অর রশিদ, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-গ্রাম সরকার বিষয়ক সম্পাদক বেলাল আহমেদ।

এছাড়াও বক্তব্য চট্টগ্রাম উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এম এ হালিম, অধ্যাপক ইউনুছ চৌধুরী, মো. নুরুল আমিন, নুর মোহাম্মদ, নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, সরওয়ার আলমগীর, কাজী সালাউদ্দীন, জসিম উদ্দীন সিকদার,   কর্নেল আজিম উল্লাহ বাহার, এড. আবু তাহের, আবদুল আওয়াল চৌধুরী, অধ্যাক জসিম উদ্দীন চৌধুরী, এড. এনামুল হক, ডা. খুরশিদ জামিল, আবু আহমেদ হাসনাত, আনোয়ার হোসেন, জয়নাল আবেদিন, শাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, জাকির হোসেন, দিদারুল আলম মিয়াজী, মোবারক হোসেন কাঞ্চন, মাহবুব সাফা, এজাহার মিয়া, মহি উদ্দীন, গিয়াস উদ্দীন চেয়ারম্যান, আবু মোহাম্মদ, সেলিম চেয়ারম্যান, হাছান জসিম, ফজল বারেক, সরওয়ার উদ্দীন সেলিম, মুরাদ চৌধুরী, বদিউল আলম বদরুল, জাহিদুল আফছার জুয়েল, আশরাফ উল্লাহ, সৈয়দ নাছির উদ্দীন, মো. সিদ্দিক, মেহেরুন্নেছা নারগিছ, রফিকুল্লাহ হামিদী, শফিউল আলম।