চুয়েটে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মবার্ষিকী বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপন করেছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) পরিবার। এ উপলক্ষ্যে আজ ২৮ সেপ্টেম্বর (বুধবার) ২০২২ খ্রি. বেলা ১২:২০ ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল কক্ষে কেক কেটে জন্মদিনের অনুষ্ঠানের সূচনা করেন চুয়েটের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। এ সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু এবং উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করে বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন চুয়েট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ ক্বারী মাওলানা নুরুল্লাহ।

এর আগে বেলা ১২.০০ ঘটিকায় একাডেমিক কক্ষে চুয়েট পরিবারের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়েটের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুনীল ধর, পুরকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মইনুল ইসলাম, যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডিন ও রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল হাছান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) জনাব মোহাম্মদ ফজলুর রহমান। অনুষ্ঠানে  বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং ছাত্র-ছাত্রীসহ চুয়েট পরিবারের সকলে উপস্থিত থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি জন্মদিনের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্যে চুয়েটের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, “বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার জন্মদিনে চুয়েট পরিবারের সকলকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক। তিনি একজন অসামান্য ভিশনারী লিডার। ২০০৮ সালেই তিনি পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। বর্তমানে ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরোটাই বাস্তবতা। বৈশ্বিক মহামারি করোনাকালে সেটার সুফল আমরা পেয়েছি।” তিনি আরও বলেন, “যে কোনো সফলতার পেছনে সঠিক পরিকল্পনার প্রয়োজন। সেজন্য তিনি ডেল্টা প্ল্যান গ্রহণ করেছেন। এখন স্বপ্ন দেখাচ্ছেন স্মার্ট বাংলাদেশের। আমরা প্রত্যাশা করবো দেশের প্রকৌশল ও প্রযুুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রধানমন্ত্রীর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।” এদিকে চুয়েট স্টাফ এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকেও কেক কেটে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন পালিত হয়।