রংপুরে সার সংকট, সরবরাহ বৃদ্ধির দাবিতে স্মারকলিপি

আমন মৌসুমে রংপুরে ইউরিয়া-নন ইউরিয়া সারের সংকট দেখা দিয়েছে। কৃষকরা ডিলারদের কাছে গিয়েও চাহিদামতো সার পাচ্ছেন না। এতে করে আমনসহ অন্য ফসলের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এদিকে সার সরবরাহসহ কমিশন বৃদ্ধিতে কৃষিমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছে বিসিআইসি’র ডিলাররা। বিএফএ রংপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় বিএফএ’র উপদেষ্টা মোতাহার হোসেন মণ্ডল মওলা বলেন, দেশের উত্তরাঞ্চলে অনাবৃষ্টির কারণে আমন আবাদ বৃদ্ধি পাওয়ায় সারের চাহিদা বেড়েছে। তাই কৃষকদের কাছে সার সরবরাহ করতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ ছাড়া ১৯৯৬ সাল থেকে ডিলারশিপ পদ্ধতি চালু হওয়ার পর সারের কেরিং, হ্যান্ডেলিং ১শ’ টাকা নির্ধারণ করা হয়। বিগত ২৫ বছরে কয়েক দফা জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির ফলে পরিবহন খরচ, কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, বিদ্যুতের মূল্য, সারের জমা মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। কমিশন বৃদ্ধি না পাওয়ায় ডিলারদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। এদিকে সার সংকটের কারণে কৃষকরা ডিলারদের কাছ থেকে চাহিদা অনুযায়ী সার পাচ্ছে না।

চাহিদার বিপরীতে জোগান কম হওয়ায় অনেক অসাধু সার ব্যবসায়ী সুযোগ নিয়ে বেশি দামে সার বিক্রি করছে। কৃষকদের অভিযোগ, সরকার প্রতি ৫০ কেজি বস্তা ইউরিয়া সার সাড়ে ৮’শ টাকা দর নির্ধারণ করে দিলেও সার সংকটের কারণে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ১১শ’ থেকে ১২শ’ টাকায় বস্তা সার কিনতে হচ্ছে। এতে করে তাদের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে। নগরীর মাহিগঞ্জ এলাকার কৃষক বেলাল হোসেন বলেন, বিসিআইসি’র ডিলারদের কাছে চাহিদা অনুযায়ী সার পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক ব্যবসায়ীরা ডিলারদের কাছ থেকে সরকারি মূল্যে সার কিনে আমাদের কাছে বস্তা প্রতি ৩ থেকে ৪শ’ টাকা বেশি দামে সার বিক্রি করছে। এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা এখন সময়ের দাবি। রংপুর জেলা প্রশাসক আসিব আহসান বলেন, সরকার দেশের উৎপাদন ঠিক রাখতে চাহিদা মোতাবেক সার সরবরাহ করেছে। সার ডিলাররা যে অতিরিক্ত চাহিদা দিয়েছে তা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে প্রয়োজন মাফিক সার সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট করা হবে।