এবার উখিয়া সীমান্তে গোলাগুলি, জনমনে আতঙ্ক

আতঙ্ক কাটছে না সীমান্তবাসীর। নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তে গত এক মাসের বেশি সময় ধরে গোলাগুলি চলছে এরইমধ্যে নতুন করে গোলাগুলি ও মর্টার শেলের বিকট শব্দে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে উখিয়া সীমান্তে বসবাসকারী মানুষ। গতকাল সকাল থেকে থেমে থেমে কয়েকদফা গোলাগুলি হলে নতুন করে আতঙ্ক ভর করে সীমান্তের এপারে বসবাসকারীদের মাঝে।

সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, উখিয়া সীমান্তে থেমে থেমে শোনা যাচ্ছে গোলাগুলির শব্দ। হঠাৎ হঠাৎ বিকট শব্দে কেঁপে উঠছে সীমান্ত জনপদ। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে গোটা ঘুমধুম ও পালংখালী সীমান্তে। উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় সীমান্তের এপারে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা পার্শ্ববর্তী এলাকায় আত্মীয় স্বজনের বাসাবাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছেন।

উখিয়ার ৫নং পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘গতকাল সকাল ৭টা থেকে ৭টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত মিয়ানমারের অভ্যন্তরে একটানা গোলাগুলি ও মর্টারের গোলার বিকট শব্দ হচ্ছে। এসব গোলাগুলি ও মর্টারের গোলার শব্দে কেঁপে উঠছে উখিয়ার আঞ্জুমানপাড়ার সীমান্তবর্তী বসতিগুলো। যার কারণে সীমান্তের বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন। সকালে ৪৫ মিনিট গোলাগুলির পর আর কোনো শব্দ পাইনি। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।

চেয়ারম্যান আরও বলেন, সীমান্তে শূন্যরেখার ৩০০ থেকে ৫০০ মিটারের মধ্যে বসবাসকারী বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে তালিকা তৈরি করার নির্দেশনা আসে। এরই মধ্যে জরিপ করে ঝুঁকিতে থাকা ১০০ পরিবারের তালিকা করা হয়েছে। যদি সীমান্তে কোনো ধরনের বিরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, তাহলে ঝুঁকিতে থাকা এসব পরিবারের লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পালংখালী ইউনিয়নের ধামনখালী, পূর্ব জমিদার পাড়া ও পূর্ব বালুখালী সীমান্ত এলাকায় শতাধিক ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারের তালিকা প্রশাসনের কাছে দেয়া হয়েছে। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, আমরা সীমান্তের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। আর সীমান্তে বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।